রোসারিও (স্পেনীয় উচ্চারণ:[roˈsaɾjo]) হল উত্তর-মধ্যআর্জেন্তিনার সান্তা ফে প্রদেশের বৃহত্তম শহর। এটিবুয়েনোস আইরেস থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৭ মাইল) দূরেপারানা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে রোসারিও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। কোনও রাজ্যের রাজধানী নয় এমন শহরগুলির মধ্যেআর্জেন্তিনায় এই শহরই সবচেয়ে জনবহুল; এই শহরের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান।বৃহত্তর রোসারিওতে ২০১২ র হিসাবে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১,২৭৬,০০০ জন।[৫] এই শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এরনব্যধ্রুপদী স্থাপত্য; বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এই স্থাপত্যরীতি শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।
এই শহররোসারিও দপ্তর'এর প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র। আর্জেন্তিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণশিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি একটি প্রধানরেলপথের প্রান্তিক স্টেশন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আর্জেন্তিনার অন্যতম প্রধান নৌকেন্দ্র। এই নদীবন্দরে জাহাজ পারানা নদীর মাধ্যমে প্রবেশ করে। এই নদী যদিও৩৪ ফুট (১০ মিটার) গভীর, তবেপলি জমে যাওয়ার প্রবণতা এর এক বড় সমস্যা; সেইকারণে পর্যায়ক্রমে পঙ্কোদ্ধার করে এর নাব্যতা বজায় রাখতে হয়। এখানে জাহাজ ঢোকা-বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকেরোসারিও পোর্ট কর্তৃপক্ষ।[৬]গম,ময়দা,খড়,তিসি, বিভিন্নউদ্ভিজ্জ তেল,ভুট্টা,চিনি,চেরা কাঠ, বিভিন্নমাংস,চামড়া এবংউল এই বন্দরের মাধ্যমে মূলতরপ্তানি করা হয়ে থাকে।
পারানা নদী বরাবর গড়ে ওঠা যে কয়টি আর্জেন্তিনীয় শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কোনও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম করা সম্ভব হয় না, রোসারিও তার মধ্যে অন্যতম। এই শহরের রক্ষাকর্ত্রী কুমারী রোসারিও। তার সম্মানে খ্রিস্টীয় উৎসবের দিন (ফিস্ট) হল ৭ অক্টোবর। এ' ক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য উল্লেখের দাবি রাখে; গ্রহাণু১৪৮১২ রোসারিওর নামকরণ এই সন্ত কুমারী রোসারিওর সম্মানেই করা হয়।[৭]