Movatterモバイル変換


[0]ホーム

URL:


বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়াএকটি মুক্ত বিশ্বকোষ
অনুসন্ধান

ভারত

স্থানাঙ্ক:২২°৪৮′ উত্তর৮৩°০′ পূর্ব / ২২.৮০০° উত্তর ৮৩.০০০° পূর্ব /22.800; 83.000
এটি একটি নির্বাচিত নিবন্ধ। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এই পাতাটি অর্ধ-সুরক্ষিত। শুধুমাত্র নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরাই সম্পাদনা করতে পারবেন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভারতীয় প্রজাতন্ত্র

নীতিবাক্য: "সত্যমেব জয়তে"(সংস্কৃত)
"সত্যই জয়লাভ করে"[]
জাতীয় সঙ্গীত: জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে
"জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা"[][]
রাজধানীনয়াদিল্লি
২২°৪৮′ উত্তর৮৩°০′ পূর্ব / ২২.৮০০° উত্তর ৮৩.০০০° পূর্ব /22.800; 83.000
বৃহত্তম নগরীমুম্বই (পৌরসভা)
দিল্লি (মহানগর এলাকা)
সরকারি ভাষাকেন্দ্রীয় স্তরে:
স্বীকৃত জাতীয় ভাষানেই
স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা
ধর্ম
(২০১১)
জাতীয়তাসূচক বিশেষণভারতীয়
সরকারযুক্তরাষ্ট্রীয়সংসদীয়সাংবিধানিকপ্রজাতন্ত্র
দ্রৌপদী মুর্মু
সি.পি. রাধাকৃষ্ণণ
নরেন্দ্র মোদী
ভূষণ রামকৃষ্ণ গবই
• লোকসভা অধ্যক্ষ
ওম বিড়লা
আইন-সভাসংসদ
রাজ্যসভা
লোকসভা
স্বাধীনতা 
• ঘোষিত
১৫ আগস্ট ১৯৪৭
২৬ জানুয়ারী ১৯৫০
আয়তন
• মোট
১২,৬৯,৩৪৬ মা (৩২,৮৭,৫৯০ কিমি) (৭ম)
• পানি (%)
জনসংখ্যা
• ২০২২ আনুমানিক
১৩৭,৫৫,৮৬,০০০[১১] (১ম)
• ২০১১ আদমশুমারি
১২১,০৮,৫৪,৯৭৭[১২][১৩] (২য়)
জিডিপি (পিপিপি)২০২৫ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি$১৭.৬৫ ট্রিলিয়ন[১৪] (৩য়)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $১২,১৩২[১৫] (১১৯তম)
জিডিপি (মনোনীত)২০২৫ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি$৪.১৯ট্রিলিয়ন[১৫] (৪তম)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $২৮৭৮[১৫] (১৩৬তম)
জিনি (২০১০)৩৩.৯[১৬]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০২১)০.৬৩৩[১৭]
মধ্যম · ১৩২তম
মুদ্রাভারতীয় টাকা
প্রতীক: (INR)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৫:৩০ (ভারতীয় প্রমাণ সময়)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
প্রচলিত নয়
তারিখ বিন্যাস
গাড়ী চালনার দিকবাম[১৮]
কলিং কোড+৯১
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN
ইন্টারনেট টিএলডি.in

ভারত (শুনুন), যারসরকারি নামভারতীয় প্রজাতন্ত্র,দক্ষিণ এশিয়ার একটিরাষ্ট্র[২০] ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর বৃহত্তমগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তেপাকিস্তান[২১] উত্তর-পূর্বেচীন,নেপালভুটান এবং পূর্বেবাংলাদেশমিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া,ভারত মহাসাগরে অবস্থিতশ্রীলঙ্কা,মালদ্বীপইন্দোনেশিয়া হল ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণেভারত মহাসাগর, পশ্চিমেআরব সাগর ও পূর্বেবঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।[২২]

সুপ্রাচীন কাল থেকেইভারতীয় উপমহাদেশঅর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ওসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিকসিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিকসাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত।হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈনশিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দেজরাথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম),ইহুদি ধর্ম,খ্রিস্টধর্মইসলাম এ দেশে প্রবেশ করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকেইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটিব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়ে ওঠে। অতঃপর, এক সুদীর্ঘস্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালেসংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

বর্তমানে ভারত২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিশিষ্ট একটিসংসদীয়সাধারণতন্ত্র। ভারতীয় অর্থব্যবস্থা বাজারি বিনিময় হারের বিচারে বিশ্বে দ্বাদশ ওক্রয়ক্ষমতা সমতার বিচারে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম। ১৯৯১ সালেভারত সরকার কর্তৃক গৃহীতআর্থিক সংস্কার নীতির ফলশ্রুতিতে আজ আর্থিক বৃদ্ধিহারের বিচারে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে দ্বিতীয়।[২৩]

ভারত ১৯৫০ সাল থেকে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয়প্রজাতন্ত্র, এবং গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসিত একটি রাষ্ট্র। এটি একটিবহুত্ববাদী,বহুভাষিক এবংবহু-জাতিগত সমাজ। ভারতের জনসংখ্যা ১৯৫১ সালে ৩৬১ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে প্রায় ১.৪ বিলিয়নে বেড়েছে।[২৪] একই সময়ে, এর নামমাত্র মাথাপিছু আয় বার্ষিক US$৬৪ থেকে US$২,৬০১ বেড়েছে এবং এর সাক্ষরতার হার ১৬.৬% থেকে ৭৪% হয়েছে।[২৫] ভারত একটি দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং একটি বিস্তৃত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাথে তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবার একটি কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।[২৬] ভারতের বেশ কয়েকটি পরিকল্পিত বা সম্পূর্ণবহির্জাগতিক মিশন সহ একটিমহাকাশ কর্মসূচি রয়েছে। এটি চতুর্থ দেশ যেটি চাঁদে একটি নৈপুণ্য অবতরণ করেছে এবংচন্দ্রের দক্ষিণ মেরুরলুনার পয়েন্টে ৬০০কিলোমিটার (৩৭০মা.) যার মধ্যে এটি করা প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।[২৭]ভারতীয় চলচ্চিত্র,সঙ্গীত এবংআধ্যাত্মিক শিক্ষা বিশ্ব সংস্কৃতিতে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা পালন করে।[২৮] ভারত তার দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে, যদিও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মূল্যে।[২৯] ভারত একটিপারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র, যেটি সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় দেশ গুলোর মধ্যে একটি।কাশ্মীর নিয়ে তার প্রতিবেশীপাকিস্তানচীনের সাথে বিরোধ রয়েছে, যা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এখনো অমীমাংসিত।[৩০] আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছেলিঙ্গ বৈষম্য,শিশুর অপুষ্টি, এবং ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ।[৩১][৩২] চারটিজীববৈচিত্র্যের হটস্পট সহ ভারতের ভূমি মেগাবৈচিত্র্যময়।[৩৩] এর মোট আয়তনের ২১.৭%বনভূমি[৩৪] ভারতের বন্যপ্রাণী, যা ঐতিহ্যগতভাবে ভারতের সংস্কৃতিতে সহনশীলতার সাথে দেখা হয়, এই বনের মধ্যে এবং অন্যত্র সুরক্ষিত আবাসস্থলে সমর্থিত।[৩৫]

উৎপত্তি

ভরত;রবি বর্মা অঙ্কিত
মূল নিবন্ধ:ভারতের নামসমূহ

ভারত (হিন্দি:भारत,প্রতিবর্ণীকৃত: ভারৎউচ্চারিত [ˈbʱaːɾət] (শুনুন)) নামটির উৎপত্তি চন্দ্রবংশীয়পৌরাণিক রাজাভরতের নামানুসারে হয়েছিল। কথিত আছে এইবর্ষ বা অঞ্চলটি রাজা ভরতকে দান করা হয়েছিল বলে এর নামভারতবর্ষভারত শব্দটি,ভারতীয় মহাকাব্য ও ভারতের সংবিধান উভয়েই উল্লিখিত,[৩৬][৩৭] অনেক ভারতীয় ভাষায় শব্দটি ভিন্নতর উচ্চারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ঐতিহাসিক নামভারতবর্ষ-এর একটি আধুনিক উপস্থাপনা, যা মূলতউত্তর ভারতে প্রযোজ্য,[৩৮][৩৯]ভারতঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ভারতের একটি স্থানীয় নাম হিসেবে বর্ধিত প্রচলন অর্জন করে।[৩৬][৪০]

অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান (তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৯) অনুসারে ইংরেজি "ইন্ডিয়া" (Indiaইন্ডিঅ্য) নামটিধ্রুপদী লাতিন শব্দইন্দিআ (India) থেকে নেওয়া হয়েছে, এটিদক্ষিণ এশিয়া এবং এর পূর্ব দিকের একটি অনিশ্চিত অঞ্চলকে উল্লেখ করে। শব্দটি ধারাবাহিকভাবেহেলেনিস্টিক গ্রিক ভাষায়ইন্দিআ (Ἰνδία),প্রাচীন গ্রিক ভাষায়ইন্দোস্ (Ἰνδός),ফার্সি ভাষা ভাষায়আকিমিনীয় সাম্রাজ্যের একটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হিসাবেহিন্দুশ এবং শেষ পর্যন্ত সগোত্রীয় সংস্কৃত শব্দসিন্ধু থেকে উদ্ভূত হয়,সিন্ধু শব্দটি দ্বারা বিশেষতসিন্ধু নদ ও এর জনবসতি যুক্ত দক্ষিণ অববাহিকাকে উল্লেখ করা হয়।[৪১][৪২]প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দেরইন্দোই (Ἰνδοί) হিসাবে উল্লেখ করেছিল, যার বঙ্গানুবাদ হল "সিন্ধু অঞ্চলের মানুষ"।[৪৩]

"হিন্দুস্তান" (হিন্দি:हिन्दुस्तान,প্রতিবর্ণীকৃত: হিন্দুস্তান্)মুঘল সাম্রাজ্যের সময় প্রবর্তিত ভারতের একটিমধ্য ফার্সি নাম, এবং তখন থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির অর্থ বৈচিত্র্যময়, বর্তমানেরউত্তর ভারত এবংপাকিস্তান বা তার নিকটবর্তী ভারতের সমগ্র অঞ্চলকে বোঝায়।[৩৬][৪০][৪৪]

ইতিহাস

মূল নিবন্ধসমূহ:ভারতের ইতিহাসভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস

প্রাচীন ভারত

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেরভীমবেটকা প্রস্তর ক্ষেত্র ভারতে মানববসতির প্রাচীনতম নিদর্শন। এক লক্ষ বছর আগেও এখানে মানুষের বসবাস ছিল।[৪৫][৪৬] প্রায় ৯০০০ বছর আগে এদেশে স্থায়ী মানববসতি গড়ে উঠে; যা কালক্রমে পশ্চিম ভারতের ইতিহাস-প্রসিদ্ধসিন্ধু সভ্যতার রূপ ধারণ করে।[৪৭] এই সভ্যতার আনুমানিক সময়কাল ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এরপর ভারতেবৈদিক যুগের সূত্রপাত হয়। এই যুগেইহিন্দুধর্ম তথা প্রাচীন ভারতীয় সমাজের অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলির আবির্ভাব ঘটে। বৈদিক যুগের সমাপ্তিকাল আনুমানিক ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। আনুমানিক ৫৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়মহাজনপদ নামে অনেকগুলি স্বাধীন রাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজ্য।[৪৮]

অজন্তা গুহাচিত্র;ঔরঙ্গাবাদ,মহারাষ্ট্র; খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক

খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকেচন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠিত ওমহামতি অশোকের শাসিতমৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে দক্ষিণ এশিয়ার সিংহভাগ অঞ্চল একত্রিত হয়।[৪৯]

মধ্যযুগীয় ভারত

খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকেগুপ্ত সম্রাটদের শাসনকালপ্রাচীন ভারতের সুবর্ণ যুগ নামে আখ্যাত হয়।[৫০] এছাড়া পূর্ব ভারতেপাল এবংদাক্ষিণাত্যেচালুক্য,চোলবিজয়নগর প্রভৃতি সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। এই সকল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায়বিজ্ঞান, প্রযুক্তি,শিল্পকলা,সাহিত্য,জ্যোতির্বিদ্যাদর্শন সমৃদ্ধি লাভ করে।

খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতেইসলামের অনুপ্রবেশ ঘটে। এর ফলে সমগ্র উত্তর ভারত প্রথমেসুলতানি ও পরেমুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।মহামতি আকবরের রাজত্বকালে দেশে একাধারে যেমন সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচনা হয়, তেমনই প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দু-মুসলমানের ধর্মীয় সম্প্রীতি।[৫১][৫২] ক্রমে ক্রমে মুঘল সম্রাটগণ উপমহাদেশের এক বৃহৎ অংশে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনে সক্ষম হন। যদিওউত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাধান্যকারীঅসমেরঅহোম রাজশক্তি এবং আরও কয়েকটি রাজ্য মুঘল আগ্রাসন সফলভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল।

প্রারম্ভিক আধুনিক ভারত

ষোড়শ শতক থেকেপর্তুগাল,নেদারল্যান্ডস,ফ্রান্সব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মতোইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করতে শুরু করে। পরবর্তীকালে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগ নিয়ে তারা ভারতে উপনিবেশ স্থাপন করতেও সক্ষম হয়।

আধুনিক ভারত

১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল।[৫৩] এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনাভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বাসিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয়ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে।

মহাত্মা গান্ধীর (ডানদিকে) সঙ্গেজওহরলাল নেহেরু, ১৯৩৭। ১৯৪৭ সালে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।

বিংশ শতকেভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্যরাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়েস্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতামহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন।[৫৪] স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নেসুভাষচন্দ্র বসু ও তারআজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিবিভক্ত হয়ে গঠন করেপাকিস্তান রাষ্ট্র।[৫৫] ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়।[৫৬]

স্বাধীনতার পরেধর্মীয় অসহিষ্ণুতা,জাতপাত,নকশাল আন্দোলন,সন্ত্রাসবাদ এবংজম্মু ও কাশ্মীর,পাঞ্জাবউত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে।১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের ফলেচীনের সঙ্গে এবং১৯৪৭,১৯৬৫,১৯৭১১৯৯৯ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ তীব্র হয়। ভারতরাষ্ট্রসংঘ (ব্রিটিশ ভারত হিসাবে) ওজোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৭৪ সালে একটি ভূগর্ভস্থপারমাণবিক পরীক্ষণ[৫৭] ও ১৯৯৮ সালে আরওপাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে ভারত নিজেদের একটিপরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে প্রকাশ করে।[৫৭] ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে[৫৮] বর্তমানে পৃথিবীর অতিদ্রুত-বর্ধনশীল এক অর্থব্যবস্থা হিসাবে ভারত সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছে।[২৩]

ভূগোল

মূল নিবন্ধ:ভারতের ভূগোল
আরও দেখুন:ভারতের ভূতত্ত্ব
হিমালয় পর্বতমালা, উত্তর সিক্কিমের ক্রো'স হ্রদ

ভারতীয় উপমহাদেশের সিংহভাগ নিয়ে গঠিত ভারতীয় ভূখণ্ডটিভারতীয় টেকটোনিক পাতইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত।[৫৯] এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশগন্ডোয়ানার অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিতভারত মহাসাগরব্যাপী এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর।[৫৯] এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গেইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালাহিমালয়ের উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে।[৫৯] উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে[৬০] এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়।[৬১] এই সমভূমির পশ্চিমেআরাবল্লী পর্বতশ্রেণী কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছেথর মরুভূমি[৬২] মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিতসাতপুরাবিন্ধ্য পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমেগুজরাটেরআরব সাগর উপকূল থেকে পূর্বেঝাড়খণ্ডেরকয়লা-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত।[৬৩] দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডেদাক্ষিণাত্য মালভূমি বামে ও ডানে যথাক্রমেপশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন।[৬৪] এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ[৬৫] ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।[৬৬]

লাক্ষাদ্বীপ

ভারতীয় উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)। এর মধ্যে ৫,৪২৩ কিলোমিটার (৩,৩৭০ মাইল) ভারতীয় উপদ্বীপের এবং ২,০৯৪ কিলোমিটার (১,৩০১ মাইল) আন্দামান, নিকোবর ও লাক্ষাদ্বীপের অন্তর্গত।[২২] ভারতীয় নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট অনুসারে মূল অঞ্চলের উপকূলভূমি ৪৩% বালুকাময় সৈকত, ১১% পাথুরে উপকূল ও ভৃগু (উঁচু খাড়া পাড় বা ক্লিফ), ৪৬% জলাজমিপূর্ণ উপকূল দ্বারা গঠিত।[২২]

সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান; বিশ্বের বৃহত্তম নদী-বদ্বীপ গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত এই বনাঞ্চলটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রসারিত

হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদনদীগুলির মধ্যে প্রধানগঙ্গাব্রহ্মপুত্র। উভয়েইবঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।[৬৭] গঙ্গার প্রধান উপনদীগুলি হলযমুনা ও কোশী নদী। কোশী নদীতে নাব্যতা অত্যন্ত কম থাকায় প্রতি বছর ভয়াল বন্যা দেখা দেয়। উপদ্বীপের প্রধান নদীগুলি হলগোদাবরী,মহানদী,কৃষ্ণা, ওকাবেরী। এই নদীগুলির খাত অত্যন্ত নাব্য হওয়ায় বন্যা কম হয়ে থাকে। এই নদীগুলিও বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।[৬৮] অন্যদিকেনর্মদাতাপ্তি পতিত হয়েছে আরব সাগরে।[৬৯] ভারতীয় উপকূলভূমির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল পশ্চিম ভারতে কচ্ছের রাণ ও পূর্বভারতেসুন্দরবনের পলিগঠিত বদ্বীপ অঞ্চল, যা ভারত ও বাংলাদেশে বিস্তৃত।[৭০] ভারতে দুটি দ্বীপপুঞ্জ দেখা যায়: ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলভাগের নিকটে প্রবালদ্বীপলাক্ষাদ্বীপ এবংআন্দামান সাগরের আগ্নেয় দ্বীপমালাআন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ[৭১]

জলবায়ু

মূল নিবন্ধ:ভারতের জলবায়ু

ভারতের বৈচিত্র্যময়ভৌগোলিকভূতাত্ত্বিক উপাদানগুলি দেশেরজলবায়ুকে অনেকাংশেই প্রভাবিত করে। কর্কটক্রান্তি রেখা ভারতের মাঝবরাবর প্রসারিত। কিন্তু দেশের উত্তর সীমান্ত বরাবর অবস্থিতহিমালয় পর্বতমালা মধ্য এশিয়া থেকে আগত ক্যাটাবেটিক বায়ুপ্রবাহকে প্রতিরোধ করে দেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বজায় রাখতে সহায়তা করে।[৭২][৭৩]হিমালয় পর্বতমালা ওথর মরুভূমি দেশেমৌসুমি বায়ুপ্রবাহকেও নিয়ন্ত্রণ করে।[৭৪] থর মরুভূমি গ্রীষ্মকালীন আর্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ুকে আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জুন থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যবর্তী সময়ে আগত এই বায়ুপ্রবাহই ভারতে বর্ষার মূল কারণ।[৭৪] ভারতে চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায়:শীত (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি),গ্রীষ্ম (মার্চ থেকে মে),বর্ষা (জুন থেকে সেপ্টেম্বর), এবংশরৎহেমন্ত (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর)।

ক্রান্তীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য অনুসারে বর্ষা ও অন্যান্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি দেশে খরা, বন্যা, সাইক্লোন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। এর ফলে প্রতি বছর দেশটির লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ও সম্পত্তি হানি হয়। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের ফলে ভারতের জলবায়ুতে নানাপ্রকার অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

জীববৈচিত্র্য

মূল নিবন্ধসমূহ:ভারতের উদ্ভিদভারতের প্রাণী
বাঘ, ভারতের জাতীয় পশু

ইন্দোমালয় পরিবেশক্ষেত্রে অবস্থিত ভারত জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। ১৮টি মহাবৈচিত্র্যপূর্ণ রাষ্ট্রের একটি এই দেশ পৃথিবীর ৭.৬% স্তন্যপায়ী, ১২.৬% পাখি, ৬.২% সরীসৃপ, ৪.৪% উভচর, ১১.৭% মাছ ও ৬.০% সপুষ্পক উদ্ভিদের বাসস্থান।[৭৫] পশ্চিমঘাট পর্বতমালার শোলা বর্ষণারণ্যের মতো ভারতের অনেক অঞ্চলেই স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রাচুর্য দেখা যায়। ৩৩% ভারতীয় বৃক্ষপ্রজাতি স্বাভাবিক উদ্ভিদশ্রেণীর অন্তর্গত।[৭৬][৭৭] ভারতের প্রধান অরণ্যক্ষেত্রগুলিআন্দামান দ্বীপপুঞ্জ,পশ্চিমঘাট পর্বতমালাউত্তর-পূর্ব ভারতের বিষুবীয় বর্ষণারণ্য থেকে হিমালয়ের চিরহরিৎ অরণ্যক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া পূর্ব ভারতেরশাল-অধ্যুষিত, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের টিক-অধ্যুষিত ও মধ্য দাক্ষিণাত্য ও গাঙ্গেয় সমভূমির বাবুল অধ্যুষিত বনাঞ্চলও উল্লেখযোগ্য।[৭৮] গ্রামীণ ভারতে নিম গাছ ওষধি রূপে ব্যবহৃত হয়। পিপল গাছমহেঞ্জোদাড়োর প্রতীকচিহ্নে দেখা গেছে। এই গাছের তলাতেইগৌতম বুদ্ধ সিদ্ধি বা বোধিলাভ করেছিলেন ও তার নাম হয়েছিল 'গৌতম বুদ্ধ'। তাই বু্দ্ধগয়ায় অবস্থিত ওই বৃক্ষটিকে বলা হয় 'বোধিবৃক্ষ'।

ভারতের জাতীয় পাখিময়ূর

বহু ভারতীয় প্রজাতি গন্ডোয়ানায় জাত টেক্সা থেকে উদ্ভূত।উপদ্বীপীয় ভারতের ক্রমসরণ ও ইউরেশীয় ভূমিভাগের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে প্রজাতিগুলির মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়। যদিও অগ্ন্যুৎপাত ও অন্যান্য জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে বিগত ২ কোটি বছরে বহু দেশজ প্রজাতিই অবলুপ্ত হয়ে যায়।[৭৯] এর ঠিক পরেই দুটি প্রাণীভৌগোলিক পথে উত্থানশীল হিমালয়ের দুই পাশ দিয়ে ভারতে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা প্রবেশ করে।[৭৮] প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের মোট স্তন্যপায়ী ও পাখিদের যথাক্রমে মাত্র ১২.৬% ও ৪.৫% দেশজ; যেখানে দেশের সরীসৃপ ও উভচরদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫.৮% ও ৫৫.৮%।[৭৫] উল্লেখযোগ্য দেশীয় প্রাণী হলনীলগিরি লেঙ্গুর, পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বাদামি ও গাঢ় লাল রঙের বেডোমি ব্যাঙ। ভারত ১৭২টি (২.৯%)প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন-গণিত লুপ্তপ্রায় প্রাণীর আবাসস্থল।[৮০] এর মধ্যে রয়েছেএশীয় সিংহ,বাংলা বাঘ, ভারতীয় শ্বেতপৃষ্ঠ শকুন (বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত)।

বিগত দশকগুলিতে মানুষের অরণ্য আগ্রাসন বন্যপ্রাণী অবলুপ্তির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে ১৯৩৫ সালে চালু হওয়াজাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত স্থানের ব্যবস্থাটিকে ব্যাপ্ত করা হয়। ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন[৮১] ও বাঘ সংরক্ষণের জন্যব্যাঘ্র প্রকল্প চালু হয়। এর সঙ্গে ১৯৮০ সালে প্রবর্তিত হয় অরণ্য সংরক্ষণ আইন[৮২] ভারতে অভয়ারণ্যের সংখ্যা পাঁচশোর অধিক। সঙ্গে দেশে ১৩টি জৈবক্ষেত্র সংরক্ষণও করা হয়।[৮৩] এর মধ্যে চারটি বিশ্ব জৈবক্ষেত্র সংরক্ষণ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত। রামসর কনভেনশন অনুসারে ভারতে পঁচিশটি জলাভূমি আছে; যার একটিকলকাতা মহানগরীরপূর্বভাগে অবস্থিত।[৮৪]

রাজনীতি ও সরকার

রাজনীতি

মূল নিবন্ধ:ভারতের রাজনীতি
নর্থ ব্লক,নয়াদিল্লি;ভারত সরকারেরপ্রধান কার্যালয়
বিধানসভা ভবন,কলকাতা। এখানে ভারতেরপশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতীয় প্রজাতন্ত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।[৮৫][৮৬] স্বাধীনোত্তর কালে অধিকাংশ সময় জুড়েই এদেশের শাসনকর্তৃত্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের আওতাধীন।[৮৭] অন্যদিকে ভারতের রাজ্য-রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করেছেভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সংক্ষেপে "কংগ্রেস"),ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি),ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিআই(এম)) প্রভৃতি জাতীয় দল ও একাধিক আঞ্চলিক পার্টি। দুটি সংক্ষিপ্ত পর্যায় বাদে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল অবধি জাতীয় কংগ্রেস সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা ভোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রীইন্দিরা গান্ধী ঘোষিতজরুরি অবস্থা-জনিত গণঅসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করেজনতা পার্টি সরকার গঠন করে। ১৯৮৯ সালে জনতা দলের নেতৃত্বে জাতীয় ফ্রন্টবামফ্রন্টের সহযোগিতায় নির্বাচনে জয়লাভ করে দু-বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে।[৮৮] ১৯৯১ সালে কোনও পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ না করতে পারায় কংগ্রেসপি ভি নরসিমা রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। এই সরকার অবশ্য পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সক্ষম হয়।[৮৯]

১৯৯৬-১৯৯৮ সালটি কেন্দ্রীয় সরকারের অস্থিরতার যুগ। এই সময় একাধিক স্বল্পকালীন জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়কালের জন্য বিজেপি সরকার গঠন করে। তারপর কংগ্রেস ও বিজেপি-বিরোধী যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ক্ষমতা দখল করে। এই সরকারই ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়কালের অকংগ্রেসি সরকার।[৯০] ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীনসংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) লোকসভায় বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করেছিল এবং বিজেপি-বিরোধী বাম সাংসদদের সহায়তায় সরকার গঠন করেছিল। ইউপিএ ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছিল। তবে বামদলগুলি আর এই জোটের সমর্থক নয়।[৯১]

২০১৪-এ বিজেপি-র নেতৃত্বেজাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) পুনরায় কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় এসেছে এবং এর ফলেনরেন্দ্র মোদী ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।[৯২] ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন।[৯৩]

সরকার

মূল নিবন্ধ:ভারত সরকার
রাষ্ট্রপতি ভবন,ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন

১৯৫০ সালের২৬ জানুয়ারি প্রবর্তিতভারতীয় সংবিধান বিশ্বের বৃহত্তম ও সর্বাধিক বিস্তারিত ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ সংবিধান।[৯৪] সংবিধানেরপ্রস্তাবনা অংশে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রকে একটিসার্বভৌম,সমাজতান্ত্রিক,ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্রিকসাধারণতন্ত্র রূপে বর্ণিত হয়েছে।[৯৫] ভারতে প্রচলিত দ্বিকক্ষবিশিষ্টসংসদ ওয়েস্টমিনিস্টার-ধাঁচের একটি সংসদ ব্যবস্থা। এদেশের সরকার প্রথাগতভাবে ‘আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয়’ সরকার ব্যবস্থা হিসাবে বর্ণিত হয়; যার বৈশিষ্ট্য হল একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল একাধিক রাজ্য সরকারের সহাবস্থান।[৯৬] যদিও ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগ থেকে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক সংস্কার ও পরিবর্তনের ফলে রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি দেশকে চালিত করছে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার দিকে।[৯৭]

রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান।[৯৮] তিনি পরোক্ষভাবে একটি নির্বাচক মণ্ডলী কর্তৃক পাঁচ বছরের সময়কালের ব্যবধানে[৯৯][১০০] নির্বাচিত হন।[১০১] অন্যদিকে ভারতের সরকার প্রধান হলেনপ্রধানমন্ত্রী। অধিকাংশ শাসনক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তার হাতেই।[৯৮]রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত[১০২] প্রধানমন্ত্রীকে প্রথাগতভাবে সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ট আসনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল বা জোটের সমর্থন লাভ করতে হয়[৯৮]। রাষ্ট্রপতি,উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ (যার কার্যনির্বাহী সমিতি হল ক্যাবিনেট)—এই নিয়ে গঠিত ভারতের শাসনবিভাগ। দপ্তরযুক্ত মন্ত্রীদের সকলকেই সংসদের কোনও না কোনও কক্ষের সদস্য হতে হয়। ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় শাসনবিভাগ আইনবিভাগের অধস্তন। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদকেসংসদের নিম্নকক্ষের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়।[১০৩]

ভারতীয় সংসদ

ভারতের আইনবিভাগ হল দ্বিকক্ষবিশিষ্টসংসদ। এটি গঠিত হয়েছেরাজ্যসভা নামক একটি উচ্চকক্ষ ওলোকসভা নামক একটি নিম্নকক্ষ নিয়ে।[১০৪] রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা ২৪৫; এঁদের দপ্তরকাল ছয় বছর।[১০৫] এঁদের অধিকাংশইরাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভা থেকে রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়ে আসেন।[১০৫] অন্যদিকে লোকসভার ৫৪৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪৩ জন পাঁচ বছরের মেয়াদে নিজ নিজ নির্বাচন কেন্দ্র থেকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।[১০৫] এছাড়া রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে সংসদেইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায় এর যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধি নেই, তবে তিনি দুই জন সদস্যকে উক্ত সম্প্রদায় থেকে সাংসদ মনোনীত করতে পারেন।[১০৫]

ভারতে এককেন্দ্রিক ত্রি-স্তর বিচারব্যবস্থা প্রচলিত। এই বিচারব্যবস্থাপ্রধান বিচারপতির নেতৃত্বেসর্বোচ্চ আদালত, ২১টিউচ্চ আদালত ও অসংখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের সমন্বয়ে গঠিত।[১০৬]মৌলিক অধিকার, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিবাদ ও উচ্চ আদালতের আপিল বিচার এক্তিয়ার সংক্রান্ত মামলাগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের মূল বিচার এক্তিয়ারের অন্তর্গত।[১০৭] এই বিচারব্যবস্থা স্বতন্ত্র[১০৬] এবং আইন ঘোষণা এবং সংবিধান-বিরোধী কেন্দ্রীয় বা রাজ্য আইন প্রতিহত করার ক্ষমতাযুক্ত।[১০৮] সংবিধানের অভিভাবকত্ব ও ব্যাখ্যাদান সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অন্তর্গত।[১০৯]

রাজনৈতিক বিভাগ

মূল নিবন্ধ:ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ

ভারত২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলবিশিষ্ট একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সাধারণতন্ত্র। ভারতে প্রত্যেক রাজ্যে নির্বাচিত রাজ্য সরকার অধিষ্ঠিত রয়েছে;পুদুচেরিদিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও নির্বাচিত সরকার রয়েছে। অপর পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ শাসনাধীন; এই অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার উপরাজ্যপাল বা প্রশাসক নিয়োগ করে থাকেন। ১৯৫৬ সালেরাজ্য পুনর্গঠন আইন বলে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি স্থাপিত হয়।[১১০] তারপর থেকে এই কাঠামোটি মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। গ্রাসরুট স্তরে শাসন ও প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মোট৭৩৯টি জেলায় বিভক্ত।[১১১] জেলাগুলি আবারতহশিল, তালুক বা মহকুমায় বিভক্ত, যা আবারপৌরসভাপঞ্চায়েতে বিভক্ত।

ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি ক্লিকযোগ্য মানচিত্র


রাজ্য (১–২৮) ওকেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (ক-জ)
১.অন্ধ্রপ্রদেশ১৯.বিহার
২.অরুণাচল প্রদেশ২০.মণিপুর
৩.আসাম২১.মধ্যপ্রদেশ
৪.উত্তরপ্রদেশ২২.মহারাষ্ট্র
৫.উত্তরাখণ্ড২৩.মিজোরাম
৬.ওড়িশা২৪.মেঘালয়
৭.কর্ণাটক২৫.রাজস্থান
৮.কেরল২৬.সিকিম
৯.গোয়া২৭.হরিয়ানা
১০.গুজরাত২৮.হিমাচল প্রদেশ
১১.ছত্তিশগড়ক.আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
১২.ঝাড়খণ্ডখ.চণ্ডীগড়
১৩.তামিলনাড়ুগ.জম্মু ও কাশ্মীর
১৪.তেলেঙ্গানাঘ.দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ
১৫.ত্রিপুরাঙ.দিল্লি জাতীয় রাজধানী রাজ্যক্ষেত্র
১৬.নাগাল্যান্ডচ.পুদুচেরি
১৭.পশ্চিমবঙ্গছ.লাক্ষাদ্বীপ
১৮.পাঞ্জাবজ.লাদাখ

বৈদেশিক সম্পর্ক ও সামরিক বাহিনী

মূল নিবন্ধসমূহ:ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কভারতের সামরিক বাহিনী
সুখোই-৩০ এমকেআই,ভারতীয় বায়ুসেনার একটি অঙ্গ।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক। ১৯৫০-এর দশকে ভারতআফ্রিকাএশিয়ার ইউরোপীয় উপনিবেশগুলির স্বাধীনতার স্বপক্ষে সওয়াল করে।[১১২]শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ ওমালদ্বীপে অপারেশন ক্যাকটাস—এই দুই ক্ষেত্রে ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সামরিক মধ্যস্থতায় অংশ নেয়।কমনওয়েলথের এক সদস্য ভারত,জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[১১৩] ভারত-চীন যুদ্ধ ও ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পরসোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক হয়ে ওঠে। ফলেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়।ঠান্ডা যুদ্ধের সমাপ্তি পর্যন্ত সেই সম্পর্ক একই রকম থাকে।কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে।[১১৪] এছাড়াও ১৯৮৪ সালেসিয়াচেন হিমবাহ ও ১৯৯৯ সালেকার্গিলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

যুক্তরাষ্ট্রেরহোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টজো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি

বর্তমানকালে, ভারত যে সকল প্রতিষ্ঠানে নিজ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে সেগুলি হলঅ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান),[১১৫]সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওন্যাল কো-অপারেশন (সার্ক) ওবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।[১১৬] ভারত চারটি মহাদেশে রাষ্ট্রসংঘের ৩৫টি শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রায় ৫৫,০০০ সেনা ও পুলিশ প্রেরণ করেছে।[১১৭] ব্যাপক সমালোচনা ও সামরিক অনুমোদন সত্ত্বেও পরমাণু কর্মসূচির উপর সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরে ভারতসর্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) ওপারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি (এনপিটি)-তে সই করতে উপর্যুপরি অস্বীকার করছে। ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেদক্ষিণ আমেরিকা,এশিয়াআফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।

পাঁচটি রাষ্ট্রের নৌবহর, মালাবার ২০০৭, ভারত আয়োজিত বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধক্রীড়া।[১১৮]

স্থলসেনা,বায়ুসেনানৌসেনা নিয়ে গঠিতভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী।[৫৬] এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা:আধাসামরিক বাহিনী,উপকূলরক্ষী বাহিনীস্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডরাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক।রাশিয়া,ফ্রান্সইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ।প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়। ১৯৭৪ সালেস্মাইলিং বুদ্ধ ও ১৯৯৮ সালেপোখরান-২ নামে মোট ছয়টি প্রাথমিক পরমাণু পরীক্ষণের মাধ্যমে ভারত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। যদিও ভারতের ঘোষিত পরমাণু নীতি হল “প্রথম প্রয়োগ নয়”।[১১৯] ১০ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখেভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তার পূর্বেইআন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাপরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী ভারতের উপর থেকে পরমাণু প্রযুক্তি ক্রয়বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে ভারত কার্যত পরিণত হয় বিশ্বের ষষ্ঠ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে।[১২০]

অর্থনীতি

মূল নিবন্ধসমূহ:ভারতের অর্থনীতিভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণ
আরও দেখুন:ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস,ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন,ভারতীয় টাকাভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
ড.অমর্ত্য সেন, নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ তথা জনকল্যাণ অর্থনীতির প্রবক্তা

১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারতসমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে।স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালেঅর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়।[৫৮] এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়নমার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।[১২১] ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে।[১২২] যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।[১২৩][১২৪]

ভারতের মোটস্থুল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি $১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার[১২৫] যাক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে $৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতেরমাথাপিছু আয় $৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যাক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে $২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ; ইতোমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।[১২৬]

বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ,মুম্বই, ভারতের বৃহত্তম তথা এশিয়ার প্রাচীনতম স্টক এক্সচেঞ্জ।

৫১ কোটি ৬৩ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমশক্তির দেশ। এই শক্তির ৬০ শতাংশ নিয়োজিত কৃষিখাতে ও কৃষিসংক্রান্ত শিল্পগুলিতে, ২৮ শতাংশ পরিষেবা ও পরিষেবা-সংক্রান্ত শিল্পে এবং ১২ শতাংশ নিযুক্ত শিল্পখাতে।[৫৬] প্রধান কৃষিজ ফসলগুলি হলধান,গম, তৈলবীজ, তুলা,পাট,চা,আখআলু। প্রধান শিল্পগুলি হল অটোমোবাইল, সিমেন্ট, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, যন্ত্রশিল্প, খনি, পেট্রোলিয়াম, ভেষজ, ইস্পাত, পরিবহন উপকরণ ও বস্ত্রশিল্প। ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদগুলি হল আবাদি জমি, বক্সাইট, ক্রোমাইট,কয়লা,হীরক, আকরিক লোহা,চুনাপাথর,ম্যাঙ্গানিজ,অভ্র,প্রাকৃতিক গ্যাস,খনিজ তেলটাইটানিয়াম আকরিক।[৮৭] ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শক্তির চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ভারত খনিজ তেলজাত পণ্যের ষষ্ঠ বৃহত্তম ও কয়লার তৃতীয় বৃহত্তম ভোক্তা।[১২৭]

বিগত দুই দশকের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ভারত বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দারিদ্র্যপীড়িত রাষ্ট্র। শিশু-অপুষ্টির হারও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে সর্বাধিক: ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী ৪৬ শতাংশ)।[১২৮][১২৯][হালনাগাদ প্রয়োজন] তবে বিশ্বব্যাঙ্ক নির্ধারিত দৈনিক ১.২৫ মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখার (২০০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী,ক্রয়ক্ষমতা সমতা নামমাত্র হিসেবে নগরাঞ্চলে দৈনিক ২১.৬ টাকা ও গ্রামাঞ্চলে দৈনিক ১৪.৩ টাকা) নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১৯৮১ সালে ৬০ শতাংশ থেকে ২০০৫ সালে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।[১৩০] সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ভারত মন্বন্তর প্রতিরোধ করতে পারলেও, দেশের অর্ধেক শিশু ওজন ঘাটতিতে ভুগছে। এই হার সারা বিশ্বের নিরিখে কেবল উচ্চই নয়, এমনকী সাব-সাহারান আফ্রিকার হারের প্রায় দ্বিগুণ।[১৩১][হালনাগাদ প্রয়োজন]

সাম্প্রতিককালে, ভারতের বহুসংখ্যক শিক্ষিতইংরেজি-পটু প্রশিক্ষিত পেশাদারগণ বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা, মেডিক্যাল পর্যটন ও বিজ্ঞাপনের কাজে নিযুক্ত হয়েছেন।[১৩২] বর্তমানে ভারতসফটওয়্যার ও অর্থসংক্রান্ত, গবেষণাসংক্রান্ত ও প্রকৌশলগত পরিষেবার এক বৃহৎ রপ্তানিকারক।

২০০৭ সালে রফতানি ও আমদানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে $১৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও $২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১৩৩] বস্ত্র, রত্ন, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি ও সফটওয়্যার ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্য। প্রধান প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিততেল, যন্ত্রপাতি,সার ও রাসায়নিক দ্রব্য। ভারতের প্রধানতম বাণিজ্য সহযোগী হলমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপীয় ইউনিয়নচীন। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সদরদপ্তর দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাতমুম্বই মহানগরীতে অবস্থিত।

জনপরিসংখ্যান

মূল নিবন্ধ:ভারতের জনতত্ত্ব
আরও দেখুন:ভারতের ধর্ম,ভারতের ভাষাদক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠী
দাক্ষিণাত্যের তোডা উপজাতির কুটির

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র। ২০১৮ সালে দেশটির আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা পৃথিবীর মোট জন সংখ্যার প্রায় ১৭.৭৪ শতাংশ। সাম্প্রতিক কালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি হাজার জনে ১১.১০ জন বা ১.১১ শতাংশ। গড়ে প্রতি দুই সেকেন্ডে জনসংখ্যা একজন করে বাড়ে। যদিও সাম্প্রতিক দশকগুলিতে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে শহরাঞ্চলীয় জনসংখ্যা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তথাপি প্রায় ৬৬.৮০ শতাংশ ভারতবাসী গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। জনসংখ্যার ৩৩.২০ শতাংশ শহরে বসবাস করে। এ দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনবসতি ৪৫৫ জন।[১৩৪] ভারতের বৃহত্তম মহানগরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলমুম্বই (পূর্বনাম বম্বে বা বোম্বাই),নয়াদিল্লি,বেঙ্গালুরু (পূর্বনাম ব্যাঙ্গালোর),কলকাতা,হায়দ্রাবাদআহমেদাবাদ[৮৭]

২০১৩-১৫ কালপর্বে জাতীয় পর্যায়ে লিঙ্গানুপাত প্রতি হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯০০ জন নারী।[১৩৫] ২০১১-এর জনমিতি অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ, যা পুরুষদের মধ্যে ৮২.১৪ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৬৫.৪৬ শতাংশ। সাক্ষরতার সর্বনিম্ন হারবিহার রাজ্যে: ৬৩.৮২ শতাংশ।[১৩৬] শহর-গ্রাম স্বা‌ক্ষরতার পার্থ‌ক্য ২০০১ সালে ছিল ২১.২ শতাংশ, যা ২০১১ সালে নেমে আসে ১৬.১ শতাংশে। গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে স্বা‌ক্ষরতা বৃদ্ধির হার শহর এলাকার তুলনায় দ্বিগুণ।[১৩৭] সাক্ষরতার হার সর্বাধিককেরল রাজ্যে (৯১%)।[১৩৮]

ভাষা

ভারতের দুটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠী হলইন্দো-আর্য (মোট জনসংখ্যার ৭৪%) ওদ্রাবিড় (মোট জনসংখ্যার ২৪%)। অপরাপর ভাষাগোষ্ঠীগুলি হলঅস্ট্রো-এশিয়াটিকতিব্বতি-বর্মী ভাষাগোষ্ঠী। ভারতের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীয় ভাষাহিন্দি[১৩৯] যা কি-না কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে নির্ধারিত।[১৪০] "সহকারী সরকারি ভাষা"ইংরেজি প্রশাসন ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত।[১৪১] উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ইংরেজির প্রাধান্য প্রশ্নাতীত। ভারতের সংবিধানবাংলা-সহ২২টি ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এগুলি হয় প্রচলিত, নয় ধ্রুপদি ভাষা। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা পেয়ে আসাতামিলসংস্কৃত[১৪২] এবংকন্নড়তেলুগু ভাষাকে ভারত সরকার নিজস্ব একটি যোগ্যতাসূচকবলে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দান করেছে।[১৪৩] ভারতে উপ-ভাষার সংখ্যা ১,৬৫২টি।[১৪৪]

ধর্ম‌

ভারতের ধর্মীয় বিশ্বাস
  1. হিন্দু 79.8 (৭৯.৮%)
  2. ইসলাম 14.2 (১৪.২%)
  3. খ্রিস্টান 2.3 (২.৩০%)
  4. জৈন 0.4 (০.৪০%)
  5. বৌদ্ধ 0.7 (০.৭০%)
  6. শিখ 1.7 (১.৭০%)
  7. অন্যান্য 0.9 (০.৯০%)

১১০ কোটিরও বেশি (৭৯.৮%) ভারতবাসীহিন্দু, যদিও হিন্দু বলতে সিন্ধু নদের অববাহিকায় বসবাসরত সকলকেই বোঝায়। অন্যান্য ধর্মসম্প্রদায়গুলোর মধ্যে রয়েছেমুসলমান (১৪.২%),খ্রিস্টান (২.৩%),শিখ (১.৭%),বৌদ্ধ (০.৭%),জৈন (০.৪%), বাকি (০.৯%)ইহুদি,পারসিবাহাই, আদিবাসী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষ।[১৪৫][১৪৬] উল্লেখ্য, ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু, শিখ, জৈন, জরাথ্রুষ্টবাদী ও বাহাই ধর্মা‌বলম্বী জনসংখ্যা রয়েছে এবং ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয়-বৃহত্তম এবং অ-মুসলমান প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। দেশে আদিবাসী জনসংখ্যা ৮.১%, যার মধ্যে ৯৮% আদিবাসীরা হিন্দুধর্ম পালন করে থাকে।[১৪৭][১৪৮][১৪৯]

সংস্কৃতি

মূল নিবন্ধ:ভারতীয় সংস্কৃতি
আগ্রারতাজমহল,শাহজাহান কর্তৃক পত্নীমুমতাজ মহলের স্মৃতিতে নির্মিত।জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা এরঅসামান্য বিশ্বজনীন মূল্য বিচার করে এটিকেবিশ্ব ঐতিহ্য ভবন ঘোষণা করেছে।[১৫০]

আফ্রিকা মহাদেশের পরেই ভারত সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগতভাবে বিশ্বে সর্বাধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল।[৮৭] "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের[১৫১] মধ্যে ঐক্য"[১৫২] ভারতীয় সংস্কৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই সংস্কৃতি স্বকীয় ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বৈদেশিক আক্রমণকারী ও বহিরাগত জাতিগুলির থেকে গ্রহণ করা রীতিনীতির সমন্বয়, সংস্কৃতি ,ঐতিহ্য ও ধারণা অঙ্গীভূত হয়ে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কৃতির ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

স্থাপত্য

ভারতীয় স্থাপত্য এমন একটি বিষয় যার মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির এই বৈচিত্র্যময় রূপটি ধরা পড়ে।তাজমহল ও অন্যান্যমুঘল স্থাপত্য নিদর্শন তথা দ্রাবিড় স্থাপত্য নিদর্শনগুলির মধ্যে ভারত ও বহির্ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচীন ও স্থানীয় ঐতিহ্যের সম্মিলন লক্ষ করা যায়। ভারতের স্থানীয় স্থাপত্যশৈলিগুলিও দেশের এক-একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক স্থাপত্য-বৈচিত্র্যের সাক্ষী।

পরিবেশন শিল্পকলা

ভারতীয় সঙ্গীতের জগৎটি গঠিত হয়েছে ধ্রুপদি ও আঞ্চলিক সঙ্গীত ধারার সংমিশ্রণে।ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দুটি ধারায় বিভক্ত – উত্তর ভারতের হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকী সঙ্গীত। এই দুই প্রধান সঙ্গীত ধারা থেকে আবার উৎসারিত হয়েছে অনেক উপধারা। আঞ্চলিক জনপ্রিয় সঙ্গীতের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দি ফিল্মি গান ও ইন্ডি-পপ এবংবাউল ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার লোকসঙ্গীত।

ভারতীয় নৃত্যকলাও "লোক" ও "ধ্রুপদী" — এই দুই প্রধান ভাগে বিভক্ত। ভারতের বিখ্যাত লোকনৃত্যগুলি হলপাঞ্জাবেরভাংড়া,আসামবিহু নৃত্য,পশ্চিমবঙ্গেরছৌ নাচ এবংরাজস্থানেরঘুমার। ভারতের সঙ্গীত নাটক অকাদেমি দেশের আটটি নৃত্যকলাকেধ্রুপদি ভারতীয় নৃত্য আখ্যা দিয়েছে। এগুলি হলতামিলনাড়ুরভরতনাট্যম,উত্তর প্রদেশেরকত্থক,কেরলেরকথাকলিমোহিনীআট্টম,অন্ধ্রপ্রদেশেরকুচিপুড়ি,মণিপুরেরমণিপুরি,ওড়িশারওড়িশি এবংআসামেরসত্রিয় নাচ।[১৫৩] এই নৃত্যশৈলিগুলি বর্ণনাত্মক ওপৌরাণিক ঘটনাকেন্দ্রিক।

সাহিত্য

ভারত ভারতের জাতীয় প্রতীকসমূহ[১৫৪]
জাতীয় পতাকাভারতের জাতীয় পতাকা
জাতীয় প্রতীকঅশোক স্তম্ভ
রাষ্ট্রীয় নীতিবাক্যসত্যমেব জয়তে
জাতীয় সংগীতজনগণমন-অধিনায়ক জয় হে
জাতীয় স্তোত্রবন্দে মাতরম্‌
জাতীয় পশুবাংলার বাঘ
ঐতিহ্যবাহী পশুভারতীয় হাতি
জাতীয় পাখিভারতীয় ময়ূর
জাতীয় জলচর প্রাণীগাঙ্গেয় ডলফিন
জাতীয় ফুলপদ্ম
জাতীয় গাছবট
জাতীয় ফলআম
জাতীয় মুদ্রাভারতীয় টাকা
জাতীয় খেলাফিল্ড হকি
জাতীয় বর্ষপঞ্জিভারতীয় জাতীয় বর্ষপঞ্জি
জাতীয় নদীগঙ্গা[১৫৫]
জাতীয় দিবসস্বাধীনতা দিবস,প্রজাতন্ত্র দিবস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - এশিয়ার প্রথম[১৫৬] সাহিত্যে নোবেল বিজেতা[১৫৭] এবংভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা।মণিপুরী নৃত্য সহ বহু শিল্পকলার পুনরুজ্জীবনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।[১৫৮]

ভারতীয় নাটকের বৈশিষ্ট্য হল সঙ্গীত, নৃত্য ও তাৎক্ষণিক বা লিখিত সংলাপের যুগলবন্দি।[১৫৯] এর বিষয়বস্তু কখনও পুরাণ থেকে, কখনো মধ্যযুগীয় প্রেমকাহিনিগুলি থেকে, কখনো আবার একালের সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলি থেকে গৃহীত। ভারতের লোকনাট্যের মধ্যেগুজরাটেরভাবাই,পশ্চিমবঙ্গেরযাত্রা, উত্তর ভারতেরনৌটঙ্কিরামলীলা,মহারাষ্ট্রেরতামাশা,অন্ধ্রপ্রদেশেরবুরাকথা,তামিলনাড়ুরতেরুককুত্তুকর্ণাটকেরযক্ষগান উল্লেখযোগ্য।[১৬০]

ভারতের প্রাচীনতমসাহিত্য প্রথমে মৌখিকভাবে ও পরে লিখিত আকারে প্রচলিত হয়।[১৬১] এই রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যবেদ, ভারতীয় মহাকাব্যরামায়ণমহাভারত, নাটকঅভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ইত্যাদিসংস্কৃত সাহিত্যের ধ্রুপদী কীর্তিসমূহ[১৬২] এবংতামিলে রচিতসঙ্গম সাহিত্য[১৬৩] আধুনিক কালের ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্য হলেন ১৯১৩ সালে দেশের প্রথমসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়াও ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যরচনার জন্য ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভুত যেসকল লেখকগণ সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন তারা হলেনঅমিতাভ ঘোষ, সালমান রুসদি, মার্কিন-প্রবাসী বাঙালি সাহিত্যিকঝুম্পা লাহিড়ী, নোবেলজয়ী ব্রিটিশ-ভারতীয় সাহিত্যিকভি এস নাইপল প্রমুখ।

চলচ্চিত্র

ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র শিল্প।[১৬৪] বাণিজ্যিক হিন্দি সিনেমা প্রস্তুতকারকবলিউড বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।[১৬৫] এছাড়াওবাংলা,কন্নড়,মালয়ালম,মারাঠি,তামিলতেলুগু ভাষায় ঐতিহ্যবাহী চলচ্চিত্র শিল্পের আছে।[১৬৬] ভারতের প্রথম সারির চলচ্চিত্র শিল্প কেন্দ্রগুলি হলবলিউড (হিন্দি),[১৬৭] টলিউড (বাংলা[১৬৮] ও তেলুগু[১৬৯]), কলিউড (তামিল),[১৭০][১৭১][১৭২] মলিউড (মালয়ালম),[১৭৩] স্যান্ডেলউড বা চন্দনবন (কন্নড়),[১৭৪] ও ভোজিউড (ভোজপুরি)।[১৭৫]

রন্ধনশৈলী

ভারতীয় রন্ধনশৈলীর বিশেষত্ব হল বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ আঞ্চলিক রন্ধনপ্রণালী এবং ভেষজ ও মশলার অভিজাত প্রয়োগ। দেশের প্রধান খাদ্যভাত (পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে) ওরুটি (মূলত উত্তর ভারতে)।[১৭৬]

পোশাক

ভারতে পোশাকের ঐতিহ্য রং, ধরন ও জলবায়ুর মতো বিভিন্ন কারণে অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন। থানকাপড়ের পোশাক হিসাবে মহিলাদের ক্ষেত্রেশাড়ি ও পুরুষদের ক্ষেত্রেধুতি বালুঙ্গি বিশেষ জনপ্রিয়। এছাড়া সেলাই-করা পোশাকের মধ্যে মহিলাদেরসালোয়ার-কামিজ ও পুরুষদের কুর্তা-পাজামা বা ইউরোপীয়-ধাঁচেট্রাউজার্সশার্ট বিশেষভাবে প্রচলিত।

উৎসব

ভারতে উৎসব প্রকৃতিগতভাবে ধর্মীয়। যদিও অনেক ধর্ম ও জাতি নিরপেক্ষ উৎসবও পালিত হয়ে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব এবং পূজা-পার্বণ গুলোর মধ‍্যেদীপাবলি,গণেশ চতুর্থী,হোলি,ওণম্,দুর্গাপূজা,রথযাত্রা,কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী,মকরসংক্রান্তি,শিবরাত্রি,রামনবমী; মুসলমান সম্প্রদায়েরঈদুল ফিতর,ঈদুল আযহা; খ্রিষ্টানদেরবড়দিন,বুদ্ধজয়ন্তী, বৈশাখী প্রভৃতি কয়েকটি জনপ্রিয় উৎসব।[১৭৭] ভারতে তিনটিজাতীয় উৎসব পালিত হয়; এগুলি হল স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস ওগান্ধী জয়ন্তী। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক উৎসবও যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। ধর্মাচরণও দৈনন্দিন ও গণজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়।

সমাজ-ব্যবস্থা

ভারতে সনাতন পারিবারিক মূল্য বিশেষ সম্মানের অধিকারী। একাধিক প্রজন্মের মিলনক্ষেত্র পিতৃতান্ত্রিক যৌথ পরিবারগুলিই ভারতীয় পরিবারতন্ত্রের আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। যদিও আজকাল নগরাঞ্চলগুলিতে ছোটো ছোটো নিউক্লিয়ার পরিবারের উদ্ভব ঘটতে দেখা যায়।[১৭৮] ভারতে বিবাহ আয়োজিত হয় পাত্র ও পাত্রীর পিতামাতা ও অন্যান্য গুরুজনস্থানীয় আত্মীয়বর্গের সম্মতিক্রমে। আয়োজিত বিবাহ ভারতে এক অতিমাত্রায় লক্ষিত বিবাহরীতি।[১৭৯] বিবাহবন্ধন সারাজীবনের বন্ধন বলে বিবেচিত হয়।[১৭৯] তাই এদেশে বিবাহবিচ্ছেদের হারও অত্যন্ত কম।[১৮০] ভারতে বাল্যবিবাহ প্রথা আজও প্রচলিত যদিও বাল্যবিবাহের হার ক্রমহাসমান। ইউনিসেফের স্যাম্পেল সার্ভে এবং ভারতের জনগণনা অনুযায়ী ২০০৬-এ যেখানে ৪৭% নারীর বিবাহ হত ১৮ বছর বয়সের আগে, ২০১৬ সালে সেই স্ংখ্যা ২৭%।[১৮১][১৮২]

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মূল নিবন্ধসমূহ:ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাসভারতীয় প্রজাতন্ত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
যন্তরমন্তর, দিল্লি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভারত তার নিজস্ব স্বাক্ষর রেখে এসেছে। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে ভারতীয় ধাতুবিদগণদিল্লির লৌহস্তম্ভটি নির্মাণ করেন।বেদাঙ্গ জ্যোতিষ গ্রন্থে সেযুগের মহাকাশ পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।কোপারনিকাসেরসূর্যকেন্দ্রিকতাবাদ প্রস্তাবনার ১০০০ বছর আগেই ভারতীয় গণিতবিদ তথা জ্যোতির্বিদআর্যভট্ট প্রাচীন বিশ্বধারণার ভ্রান্ততা প্রমাণ করেছিলেন। প্রাচীন বিশ্বে একমাত্র ভারতেই গড়ে উঠেছিল হীরের খনি। ভারতীয় গণিতজ্ঞশ্রীনিবাস রামানুজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদদের অন্যতম বলে বিবেচিত হন। ১৯২৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন ভারতীয় পদার্থবিদচন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন

ইনফোসিস,বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরু ভারতের তথ্য প্রযুক্তির রাজধানী হিসাবে পরিচিত।

স্বাধীনোত্তর ভারতকে একটি দরিদ্র রাষ্ট্র বলে বিবেচনা করা হলেও, স্বাধীনতা অর্জনের পাঁচ দশকের মধ্যেই এই দেশ প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার এক মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সাক্ষরতার হার ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নগরকেন্দ্রের উদ্ভব ভারতের এই প্রযুক্তিগত উত্থানের কারণ। ১৯৭৫ সালে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহআর্যভট্টের উৎক্ষেপণ, তার পূর্ববর্তী বছরেস্মাইলিং বুদ্ধ নামে এক ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষণ, দূরসংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পারমাণবিক চুল্লি ওহোমি জাহাঙ্গীর ভাভা পরিচালিতভাভা পরমাণু অনুসন্ধান কেন্দ্রের মতো গবেষণা কেন্দ্রের বিকাশ ভারতের উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য বলে বিবেচিত হয়।[১৮৩] লো-আর্থ, মেরু ও জিওস্টেশনারি কক্ষপথে উপগ্রহ উৎক্ষেপণের এক দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ভারত। এএসএলভি, পিএসএলভি, জিএসএলভি ও সর্বোপরিভারতীয় জাতীয় উপগ্রহ ব্যবস্থা কৃত্রিম উপগ্রহ সিরিজগুলি ভারতের সফল মহাকাশ-কর্মসূচির স্বাক্ষর। ২০০৮ সালে চাঁদের মাটিতে অবতীর্ণ হয় প্রথম ভারতীয় মহাকাশযানচন্দ্রযান-১। চন্দ্রযান-১-এর পাঠানো তথ্য থেকেনাসার তত্ত্বাবধানে ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে মুন মিনারেলজি ম্যাপার যন্ত্রে বিস্ময়করভাবে প্রভূত পরিমাণ হাইড্রক্সিল আয়ন এবং বরফের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।[১৮৪] দেশীয় বিমানশক্তির ক্ষেত্রে বৈকল্পিক শক্তি হিসেবে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ও এলসিএ তেজস-এর নাম করা যায়। লারসেন অ্যান্ড টাব্রো, ডিএফএল-এর মতো কোম্পানিগুলির সাহায্যে আবাসন ও পরিকাঠামো শিল্পেও ভারত আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রসর।

২০০৩ সালে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং তৈরি করে ভারতের প্রথম সুপারকম্পিউটারপরম পদ্ম। এটি পৃথিবীর দ্রুততম সুপারকম্পিউটারগুলির অন্যতম।[১৮৫] ১৯৯০-এর দশকেঅর্থনৈতিক উদারীকরণ এবংতথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় এক অগ্রণী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে বিশ্বের মঞ্চে উপস্থাপিত করে। বর্তমানেআইবিএম,মাইক্রোসফট, সিসকো সিস্টেমস, ইনফোসিস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, উইপ্রো ও অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলি ভারতেরবেঙ্গালুরু,হায়দ্রাবাদ,চেন্নাই প্রভৃতি শহরে তাদের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছে।

খেলাধুলা

বার্লিন অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় হকি দল
কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তমফুটবল মাঠ
মূল নিবন্ধ:ভারতের খেলাধুলা

ভারতের সুনির্দিষ্ট জাতীয় খেলা নেই। আনেকে একেকাবাডি কিংবা ফিল্ড হকি মনে করেন। কিন্তু বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়।

কাবাডি বিশ্বকাপে ভারত জয়ের হ্যাটট্রিকও করেছে।

ইন্ডিয়ান হকি ফেডারেশনের উপর এদেশের হকি পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত। ভারতীয় হকি দল ১৯৭৫ সালের পুরুষদেরহকি বিশ্বকাপ এবং পুরুষদেরঅলিম্পিক গেমসে পাঁচবার স্বর্ণপদক বিজয়ী। ফুটবল খেলা ভারতে জনপ্রিয়। ২০১৮-তে কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলায় ইংল্যান্ড বিজয়ী হয়। আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত খেলতে পেয়েও উল্লেখযোগ্য ফল পায়নি। ভারতের ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলো হল: জাতীয় ফুটবলসন্তোষ ট্রফি,নেহেরু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা,ফেডারেশন কাপ,নেহেরু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা,ডুরান্ড কাপ এবংইন্ডিয়ান সুপার লিগ। ভারতে ফুটবল খেলা পরিচালনা করেসর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। যদিও ভারতে সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হলক্রিকেটভারত জাতীয় ক্রিকেট দল ১৯৮৩ সালেরক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি-২০ এবং ২০১১ সালেরক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী। এছাড়াও ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালে আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি-২০ তে ফাইনালে পরাজিত হয়। ভারতে ক্রিকেট পরিচালিত হয়ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) কর্তৃক। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরঞ্জি ট্রফি,দিলীপ ট্রফি,দেওধর ট্রফি,ইরানি কাপ ও চ্যালেঞ্জার সিরিজ। ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা দেশে প্রভূত জনপ্রিয়তা ও নানাবিধ বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী।

ভারতীয় দলের ডেভিস কাপ বিজয়ের পর থেকে ভারতেটেনিসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকেফুটবলপশ্চিমবঙ্গ,উত্তর-পূর্ব ভারত,গোয়াকেরলে বেশ জনপ্রিয়।[১৮৬]ভারত জাতীয় ফুটবল দল বহুবারসাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কাপ জিতেছে। ভারত ১৯৫১ ও ১৯৮২ সালেএশিয়ান গেমস আয়োজন করেছিল। এছাড়াও ভারত ছিল ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ ছিল; ভারত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ।দাবা খেলার উদ্ভবও হয়েছিল ভারতে। দেশে গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ দাবা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খেলা।[১৮৭] এছাড়াও দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেলা হলকাবাডি, খো খো, ও গুলি ডান্ডা ইত্যাদি। ভারতে প্রাচীন যোগব্যয়াম এবং বিভিন্ন ভারতীয় মার্শাল আর্ট, কালারিপ্পায়াত্তু, বার্মা কলাই ইত্যাদি আজও জনপ্রিয়। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক ক্রীড়া পুরস্কার হলরাজীব গান্ধী খেলরত্নঅর্জুন পুরস্কার (খেলোয়াড়দের জন্য) এব দ্রোণাচার্য পুরস্কার (কোচিং-এর জন্য)।

আরও দেখুন

টীকা

  1. দেবনাগরী লিপিতে লিখিতহিন্দি কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষা এবংইংরেজি ভাষা হল "সহকারী সরকারি ভাষা"[][][]রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারি ভাষা হিসাবে হিন্দি বা ইংরেজি ব্যতীত অন্য কোনো ভাষা গ্রহণ করতে পারে।
  2. ভারতেতারিখ ও সময়ের অঙ্কপাতন দেখুন।

গ্রন্থপঞ্জি

ইতিহাস
রাজনীতি ও সমাজ
ভূগোল
উদ্ভিদ ও প্রাণী
সংস্কৃতি

তথ্যসূত্র

  1. "State Emblem -inscription"(HTML)। National Informatics Centre (NIC)। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০০৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|প্রকাশক=-এ ইটালিক বা গাঢ় লেখা অনুমোদিত নয় (সাহায্য)
  2. Wolpert 2003, পৃ. 1।
  3. "National Symbols | National Portal of India"। India.gov.in। ৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩
  4. "National Song – Know India portal"। National Informatics Centre(NIC)। ২০০৭। ২৩ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০০৭
  5. "CONSTITUENT ASSEMBLY OF INDIA — VOLUME XII"Constituent Assembly of India: Debates। parliamentofindia.nic.in, National Informatics Centre। ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০০৭The composition consisting of the words and music known as Jana Gana Mana is the National Anthem of India, subject to such alterations in the words as the Government may authorise as occasion arises, and the song Vande Mataram, which has played a historic part in the struggle for Indian freedom, shall be honoured equally with Jana Gana Mana and shall have equal status with it.
  6. Ministry of Home Affairs 1960
  7. National Informatics Centre 2005
  8. "Profile | National Portal of India"। India.gov.in। ৩০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৩
  9. "Constitutional Provisions – Official Language Related Part-17 Of The Constitution Of India"জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র (Hindi ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি:<ref> ট্যাগ বৈধ নয়;Census2011religion নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. Population Projections for India and States, 2011-2036 (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জুলাই ২০২০। ১৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২২
  12. "Population Enumeration Data (Final Population)"2011 Census DataOffice of the Registrar General & Census Commissioner, India। ২২ মে ২০১৬ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৬
  13. "A – 2 Decadal Variation in Population Since 1901"(পিডিএফ)2011 Census DataOffice of the Registrar General & Census Commissioner, India। ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখেমূল থেকে(পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৬
  14. {{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.imf.org/external/datamapper/profile/IND
  15. উদ্ধৃতি ত্রুটি:<ref> ট্যাগ বৈধ নয়;https://www.imf.org/external/datamapper/profile/IND নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  16. "Income Gini coefficient"United Nations Development Program। ২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৭
  17. "Human Development Report 2021/2022"(পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)।জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  18. "List of all left- & right-driving countries around the world"worldstandards.eu। ১৩ মে ২০২০। ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২০
  19. "Profile"india.gov.in। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬
  20. The Essential Desk Reference,অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০২, পৃ. ৭৬,আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১২৮৭৩-৪ "Official name: Republic of India.";
    John Da Graça (২০১৭),Heads of State and Government, London:Macmillan, পৃ. ৪২১,আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩৪৯-৬৫৭৭১-১ "Official name: Republic of India; Bharat Ganarajya (Hindi)";
    Graham Rhind (২০১৭),Global Sourcebook of Address Data Management: A Guide to Address Formats and Data in 194 Countries,Taylor & Francis, পৃ. ৩০২,আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩৫১-৯৩৩২৬-১ "Official name: Republic of India; Bharat.";
    Bradnock, Robert W. (২০১৫),The Routledge Atlas of South Asian Affairs,Routledge, পৃ. ১০৮,আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩১৭-৪০৫১১-৫ "Official name: English: Republic of India; Hindi:Bharat Ganarajya";
    Penguin Compact Atlas of the World,Penguin, ২০১২, পৃ. ১৪০,আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৫৬৬-৯৮৫৯-১ "Official name: Republic of India";
    Merriam-Webster's Geographical Dictionary (3rd সংস্করণ),Merriam-Webster, ১৯৯৭, পৃ. ৫১৫–৫১৬,আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭৭৭৯-৫৪৬-৯ "Officially, Republic of India";
    Complete Atlas of the World: The Definitive View of the Earth (3rd সংস্করণ),DK Publishing, ২০১৬, পৃ. ৫৪,আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৬৫৪-৫৫২৮-৪ "Official name: Republic of India";
    Worldwide Government Directory with Intergovernmental Organizations 2013,CQ Press, ২০১৩, পৃ. ৭২৬,আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৫২২-৯৯৩৭-২ "India (Republic of India; Bharat Ganarajya)"
  21. টীকা:ভারত সরকারআফগানিস্তানকেও ভারতের সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র মনে করে। এর কারণ, আফগানিস্তান-সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিসহ সমগ্রজম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত সরকার ভারতের অংশ মনে করে। ১৯৪৮ সালেরাষ্ট্রসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি উক্ত রাজ্যটির ভারতীয় ওপাকিস্তানি অংশের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এরপর থেকেই আফগানিস্তান-সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিপাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্গত।
  22. Kumar এবং অন্যান্য 2006, পৃ. 531
  23. "India is the second fastest growing economy"Economic Research Service (ERS)। United States Department of Agriculture (USDA)। ২০ মে ২০১১ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০০৭
  24. Dyson 2018, পৃ. 219, 262
  25. Fisher 2018, পৃ. 8
  26. Metcalf ও Metcalf 2012, পৃ. 265–266
  27. Kumar, Hari; Travelli, Alex; Mashal, Mujib; Chang, Kenneth (২৩ আগস্ট ২০২৩),"'India Is on the Moon': Lander's Success Moves Nation to Next Space Chapter",The New York Times, ২৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২৩,Two visitors from India — a lander named Vikram and a rover named Pragyan — landed in the southern polar region of the moon on Wednesday. The two robots, from a mission named Chandrayaan-3, make India the first country to ever reach this part of the lunar surface in one piece — and only the fourth country ever to land on the moon. ... The spacecraft stopped to hover about 150 yards above the surface for a few seconds, then resumed its downward journey until it settled gently on the surface, about 370 miles from the south pole.
  28. Metcalf ও Metcalf 2012, পৃ. 266
  29. Dyson 2018, পৃ. 216
  30. (a)"Kashmir, region Indian subcontinent",এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ১৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯,Kashmir, region of the northwestern Indian subcontinent ... has been the subject of dispute between India and Pakistan since the partition of the Indian subcontinent in 1947.;(b)Pletcher, Kenneth,"Aksai Chin, Plateau Region, Asia",এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯,Aksai Chin, Chinese (Pinyin) Aksayqin, portion of the Kashmir region, ... constitutes nearly all the territory of the Chinese-administered sector of Kashmir that is claimed by India;(c)Bosworth, C. E (২০০৬)।"Kashmir"Encyclopedia Americana: Jefferson to LatinScholastic Library Publishing। পৃ. ৩২৮।আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭১৭২-০১৩৯-৬KASHMIR, kash'mer, the northernmost region of the Indian subcontinent, administered partly by India, partly by Pakistan, and partly by China. The region has been the subject of a bitter dispute between India and Pakistan since they became independent in 1947
  31. Narayan, Jitendra; John, Denny; Ramadas, Nirupama (২০১৮)। "Malnutrition in India: status and government initiatives"।Journal of Public Health Policy৪০ (1):১২৬–১৪১।ডিওআই:10.1057/s41271-018-0149-5আইএসএসএন 0197-5897পিএমআইডি 30353132এস২সিআইডি 53032234
  32. Balakrishnan, Kalpana; Dey, Sagnik; এবং অন্যান্য (২০১৯)।"The impact of air pollution on deaths, disease burden, and life expectancy across the states of India: the Global Burden of Disease Study 2017"The Lancet Planetary Health (1):e২৬ –e৩৯ডিওআই:10.1016/S2542-5196(18)30261-4আইএসএসএন 2542-5196পিএমসি 6358127পিএমআইডি 30528905
  33. India,প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (IUCN), ২০১৯, ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৯
  34. উদ্ধৃতি ত্রুটি:<ref> ট্যাগ বৈধ নয়;ISFR নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  35. Karanth ও Gopal 2005, পৃ. 374।
  36. Clémentin-Ojha 2014
  37. The Constitution of India(পিডিএফ),Ministry of Law and Justice, ১ ডিসেম্বর ২০০৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখেমূল থেকে(পিডিএফ) আর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১২,Article 1(1): India, that is Bharat, shall be a Union of States.
  38. Jha, Dwijendra Narayan (২০১৪),Rethinking Hindu Identity,Routledge, পৃ. ১১,আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩১৭-৪৯০৩৪-০
  39. Singh 2017, পৃ. 253
  40. Barrow 2003
  41. "India (noun)",অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান (3rd সংস্করণ), ২০০৯, ১৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ (subscription required)
  42. Thieme 1970, পৃ. 447–450।
  43. Kuiper 2010, পৃ. 86।
  44. "Hindustan"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, Inc.। ২০০৭। ১৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০০৭
  45. Javid, Ali and Javeed, Tabassum.World Heritage Monuments and Related Edifices in India. 2008, page 19
  46. "Bhimbetka, Auditorium Cave, Madhya Pradesh: Acheulian Petroglyph Site, c. >100,000 – 500,000 BP"originsnet.org। ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯
  47. "Introduction to the Ancient Indus Valley"। Harappa। ১৯৯৬। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০০৭
  48. Krishna Reddy (২০০৩)।Indian History। New Delhi: Tata McGraw Hill। পৃ. A১০৭।আইএসবিএন ০০৭০৪৮৩৬৯৮
  49. Jona Lendering।"Maurya dynasty"। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০০৭
  50. The Age of Guptas and Afterওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে Washington State University website.
  51. "The Mughal Legacy"। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮
  52. "The Mughal World : Life in India's Last Golden Age"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮
  53. "History : Indian Freedom Struggle (1857–1947)"National Informatics Centre (NIC)। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০০৭And by 1856, the British conquest and its authority were firmly established.
  54. Concise Encyclopedia। Dorling Kindersley Limited। ১৯৯৭। পৃ. ৪৫৫।আইএসবিএন ০-৭৫১৩-৫৯১১-৪
  55. Concise Encyclopedia। Dorling Kindersley Limited। ১৯৯৭। পৃ. ৩২২।আইএসবিএন ০-৭৫১৩-৫৯১১-৪
  56. "CIA Factbook: India"CIA Factbook। ১১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০০৭
  57. "India Profile"। Nuclear Threat Initiative (NTI)। ২০০৩। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০০৭
  58. Montek Singh Ahluwalia. "Economic Reforms in India since 1991: Has Gradualism Worked?" (MS Word). Journal of Economic Perspectives. Retrieved on2007-06-13.ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২০১০-০৩-০৪ তারিখে"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক)
  59. Ali, Jason R. (২০০৫)।"Greater India"Earth-Science Reviews৭২ (3–4):১৭০–১৭৩।ডিওআই:10.1016/j.earscirev.2005.07.005{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  60. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 7
  61. Prakash, B. (২০০০)।"Holocene tectonic movements and stress field in the western Gangetic plains"(PDF)Current Science৭৯ (4):৪৩৮–৪৪৯। ৪ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  62. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 11
  63. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 8
  64. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 9-10
  65. India's northernmost point is the region of the disputedসিয়াচেন হিমবাহ in Jammu and Kashmir; however, the Government of India regards the entire region of the former princely state ofজম্মু ও কাশ্মীর (including theNorthern Areas currently administered by Pakistan) to be its territory, and therefore assigns the longitude 37° 6' to its northernmost point.
  66. (Government of India 2007, পৃ. 1)
  67. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 15
  68. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 16
  69. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 17
  70. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 12
  71. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 13
  72. Posey 1994, পৃ. 118
  73. Wolpert 2003, পৃ. 4
  74. Chang 1967, পৃ. 391-394
  75. Dr S.K.Puri।"Biodiversity Profile of India (Text Only)"। ২১ নভেম্বর ২০১১ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০০৭
  76. Botanical Survey of India. 1983.Flora and Vegetation of India — An Outline. Botanical Survey of India, Howrah. p. 24.
  77. Valmik Thapar,Land of the Tiger: A Natural History of the Indian Subcontinent, 1997.আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২০-২১৪৭০-৫
  78. Tritsch, M.E. 2001.Wildlife of India Harper Collins, London. 192 pages.আইএসবিএন ০-০০-৭১১০৬২-৬
  79. K. Praveen Karanth. (2006).Out-of-India Gondwanan origin of some tropical Asian biotaওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে
  80. Groombridge, B. (ed). 1993.The 1994 IUCN Red List of Threatened Animalsপ্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন, Gland, Switzerland and Cambridge, UK. lvi + 286 pp.
  81. "The Wildlife Protection Act, 1972"। Helplinelaw.com। ২০০০। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০০৭
  82. "The Forest Conservation Act, 1980"। AdvocateKhoj.com। ২০০৭। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০০৭
  83. "Biosphere Reserves of India"। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০০৭
  84. "The List of Wetlands of International Importance"(পিডিএফ)। The Secretariat of the Convention of on Wetlands। ৪ জুন ২০০৭। পৃ. p. ১৮। ১৯ আগস্ট ২০১১ তারিখেমূল থেকে(PDF) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০০৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|পাতাসমূহ=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  85. "Country profile: India"। BBC। ৯ জানুয়ারি ২০০৭। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০০৭
  86. "World's Largest Democracy to Reach One Billion Persons on Independence Day"United Nations Department of Economic and Social Affairsজাতিসংঘ:Population Division। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০০৭
  87. "Country Profile: India"(PDF)লাইব্রেরি অব কংগ্রেসFederal Research Division। ২০০৪। ২৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০০৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  88. Bhambhri, Chandra Prakash (১৯৯২)।Politics in India 1991–92। Shipra Publications। পৃ. ১১৮, ১৪৩।আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৮৫৪০২১৭৮
  89. "Narasimha Rao passes away"দ্য হিন্দু। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০০৮
  90. Patrick Dunleavy, Rekha Diwakar, Christopher Dunleavy।"The effective space of party competition"(PDF)London School of Economics and Political Science। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০০৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক)
  91. Hermann, Kulke (২০০৪)।A History of India। Routledge। পৃ. ৩৮৪।আইএসবিএন ৯৭৮-০৪১৫৩২৯১৯৪{{বই উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  92. "Narendra Modi appointed Prime Minister, swearing in on May 26"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০ মে ২০১৪। ২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪
  93. "Modi Swearing-in Highlights: New team blend of youthful energy, experience: PM"Live Mint (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ মে ২০১৯। ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২১
  94. Pylee, Moolamattom Varkey (২০০৪)। "The Longest Constitutional Document"।Constitutional Government in India (2nd edition সংস্করণ)। S. Chand। পৃ. ৪।আইএসবিএন ৮১২১৯২২০৩৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০০৭{{বই উদ্ধৃতি}}:|edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  95. Dutt, Sagarika (১৯৯৮)।"Identities and the Indian state: An overview"Third World Quarterly১৯ (3):৪১১–৪৩৪।ডিওআই:10.1080/01436599814325 at p. 421
  96. Wheare, K.C. (১৯৬৪)।Federal Government (4th edition সংস্করণ)।অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃ. ২৮{{বই উদ্ধৃতি}}:|edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  97. Echeverri-Gent, John (২০০২), "Politics in India's Decentred Polity", Ayres, Alyssa; Oldenburg, Philip (সম্পাদকগণ),Quickening the Pace of Change, India Briefing, London: M.E. Sharpe, পৃ. ১৯–৫৩,আইএসবিএন ০-৭৬৫৬-০৮১২-X at pp. 19-20;Sinha, Aseema (২০০৪), "The Changing Political Economy of Federalism in India",India Review, (1):২৫–৬৩,ডিওআই:10.1080/14736480490443085,আইএসএসএন 1473-6489 at pp 25-33
  98. Sharma, Ram (১৯৫০)।"Cabinet Government in India"Parliamentary Affairs (1):১১৬–১২৬।
  99. Gledhill, Alan (১৯৬৪)।The Republic of India: The Development of Its Laws and Constitution (2nd edition সংস্করণ)। Stevens and Sons। পৃ. ১১২{{বই উদ্ধৃতি}}:|edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  100. "Tenure of President's office"The Constitution Of India। Constitution Society। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭The President shall hold office for a term of five years from the date on which he enters upon his office
  101. "Election of President"The Constitution Of India। Constitution Society। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭The President shall be elected by the members of an electoral college
  102. "Appointment of Prime Minister and Council of Ministers"The Constitution Of India। Constitution Society। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭The Prime Minister shall be appointed by the President and the other Ministers shall be appointed by the President on the advice of the Prime Minister.
  103. Matthew, K.M.।Manorama Yearbook 2003Malayala Manorama। পৃ. pg ৫২৪।আইএসবিএন ৮১৯০০৪৬১৮৭{{বই উদ্ধৃতি}}:|পাতাসমূহ=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  104. Gledhill, Alan (১৯৬৪)।The Republic of India: The Development of Its Laws and Constitution (2nd edition সংস্করণ)। Stevens and Sons। পৃ. ১২৭{{বই উদ্ধৃতি}}:|edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  105. "Parliament of India"http://parliamentofindia.nic.in/। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|প্রকাশক=-এ বহিঃসংযোগ (সাহায্য)
  106. Neuborne, Burt (২০০৩)। "The Supreme Court of India"।International Journal of Constitutional Law (1):৪৭৬–৫১০।ডিওআই:10.1093/icon/1.3.476 at p. 478.
  107. Supreme Court of India।"Jurisdiction of the Supreme Court"। National Informatics Centre। ১৮ জুলাই ২০০৮ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০০৭
  108. Sripati, Vuayashri (১৯৯৮)। "Toward Fifty Years of Constitutionalism and Fundamental Rights in India: Looking Back to See Ahead (1950–2000)"।American University International Law Review১৪ (2):৪১৩–৪৯৬। at pp. 423-424
  109. Pylee, Moolamattom Varkey (২০০৪)। "The Union Judiciary: The Supreme Court"।Constitutional Government in India (2nd edition সংস্করণ)।S. Chand। পৃ. ৩১৪।আইএসবিএন ৮১২১৯২২০৩৮। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০০৭{{বই উদ্ধৃতি}}:|edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  110. "States Reorganisation Act, 1956"Constitution of India। Commonwealth Legal Information Institute। ১৬ মে ২০০৮ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০০৭; See also:Political integration of India
  111. "Districts of India"Government of IndiaNational Informatics Centre (NIC)। ১১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০০৭
  112. "Significance of the Contribution of India to the Struggle Against Apartheid1 by M. Moolla"। ১১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮
  113. "History of Non Aligned Movement"। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০০৭
  114. Martin Gilbert (২০০২)।A History of the Twentieth Century। পৃ. ৪৮৬–৮৭।আইএসবিএন ০০৬০৫০৫৯৪X। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০০৮
  115. "India's Expanding Role in Asia: Adapting to Rising Power Status"। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮
  116. "India's negotiation positions at the WTO"(PDF)। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮
  117. "India and the United Nations"। ৪ মে ২০০৬ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০০৬
  118. "Largest Navy War Game"। ১২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০০৯
  119. Brig. Vijai K. Nair (ভারতীয় সেনাবাহিনী)।"No More Ambiguity: India's Nuclear Policy"(পিডিএফ)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখেমূল থেকে(PDF) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০০৭
  120. Times of India (১১ অক্টোবর ২০০৮),India, US seal 123 Agreement, Times of India
  121. "Weekly Statistical Supplement"ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ১ জুন ২০০৭। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০০৭
  122. ""Revenue surge boosts fiscal health""বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৬
  123. Mohan, T.T.Ram. "Privatization in India: Issues and Evidence" (PDF).Indian Institute of Management, Ahmedabad. Retrieved on2007-08-03.ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২০০৭-০৮-০৭ তারিখে"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"(পিডিএফ)। ৭ আগস্ট ২০০৭ তারিখেমূল থেকে(পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮
  124. "Quarterly estimates of gross domestic product, 2006-07"ভারত সরকার। ৭ জুন ২০০৭ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০০৭
  125. উদ্ধৃতি ত্রুটি:<ref> ট্যাগ বৈধ নয়;imf.org নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  126. "The Puzzle of India's Growth"। ২৬ জুন ২০০৬। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে:|3= (সাহায্য)
  127. "EIA Country Profiles: India"। ১৬ জুন ২০০৮। ২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০০৮
  128. "Inclusive Growth and Service delivery: Building on India's Success"(পিডিএফ),World Bank, ২৯ মে ২০০৬, ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখেমূল থেকে(পিডিএফ) আর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০০৯
  129. Page, Jeremy (২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭),"Indian children suffer more malnutrition than in Ethiopia",The Times, ২৫ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০০৯
  130. "New Global Poverty Estimates — What it means for India"। World Bank। ৬ মে ২০১২ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯
  131. "India: Undernourished Children: A Call for Reform and Action",World Bank, ৭ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯
  132. Mudur, Ganapati (২০০৪)।"Hospitals in India woo foreign patients"British Medical Journal৩২৮: ১৩৩৮।ডিওআই:10.1136/bmj.328.7452.1338পিএমআইডি 15178611{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  133. G. Srinivasan (১৮ এপ্রিল ২০০৮)।"Rise in Indian services exports less than global average: WTO"The Hindu Business Line। ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০০৮
  134. "India Population (2019) – Worldometers"www.worldometers.info। ৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯
  135. "Sex Ratio (Females/ 1000 Males) – NITI Aayog"niti.gov.in। ৩০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯
  136. "World Population Review"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  137. Chandramouli 2011
  138. "Kerala's literacy rate"kerala.gov.inGovernment of Kerala। ১৭ এপ্রিল ২০০৮ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০০৭
  139. "Languages by number of speakers according to 1991 census"। Central Institute of Indian Languages। ২৯ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  140. Mallikarjun, B. (Nov., 2004),Fifty Years of Language Planning for Modern Hindi–The Official Language of Indiaওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে,Language in Indiaওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে, Volume 4, Number 11. ISSN 1930-2940.
  141. "Notification No. 2/8/60-O.L. (Ministry of Home Affairs), dated 27 April, 1960"। ৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য);উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে:|2= (সাহায্য)
  142. Seaver, Sanford B. (১৯৯৮),The Dravidian Languages, Taylor and Francis. Pp. 436,আইএসবিএন ০-৪১৫-১০০২৩-২, ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮. Quote: "Tamil … It is therefore one of India's two classical languages, alongside the more widely known Indo-Aryan language Sanskrit." 2.Ramanujan, A. K. (১৯৮৫),Poems of Love and War: From the Eight Anthologies and the Ten Long Poems of Classical Tamil, New York: Columbia University Press. Pp. 329,আইএসবিএন ০-২৩১-০৫১০৭-৭, ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ Quote: "Tamil, one of the two classical languages of India, is a Dravidian language spoken today by 50 million Indians, ..."
  143. "Declaration of Telugu and Kannada as classical languages"Press Information Bureau। Ministry of Tourism and Culture, Government of India। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০০৮
  144. Matthew, K.M. (২০০৬)।Manorama Yearbook 2003Malayala Manorama। পৃ. pg ৫২৪।আইএসবিএন ৮১-৮৯০০৪-০৭-৭{{বই উদ্ধৃতি}}:|পাতাসমূহ=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  145. "5 facts about religion in India"Pew Research Center (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০২১
  146. "The Global Religious Landscape"(পিডিএফ)Boston College। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৩
  147. "Tribes: Introduction"জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র। Ministry of Tribal Affairs,ভারত সরকার। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  148. Global Muslim population estimated at 1.57 billionওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১ জুন ২০১৩ তারিখে. The Hindu (8 October 2009)
  149. "India Chapter Summary 2012"(পিডিএফ)। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত(পিডিএফ)
  150. "Taj Mahal"World Heritage List। UNESCO World Heritage Centre। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮The World Heritage List includes 851 properties forming part of the cultural and natural heritage which the World Heritage Committee considers as having outstanding universal value.{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  151. Baidyanath, Saraswati (২০০৬)। "Cultural Pluralism, National Identity and Development"।Interface of Cultural Identity Development (1stEdition সংস্করণ)। xxi+২৯০pp।আইএসবিএন ৮১-২৪৬-০০৫৪-৬। ২ জুলাই ২০০৭ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৭{{বই উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|nopp= উপেক্ষা করা হয়েছে (|no-pp= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  152. Das, N.K. (২০০৬)।"Cultural Diversity, Religious Syncretism and People of India: An Anthropological Interpretation"Bangladesh e-Journal of Sociology (2nd)। ISSN 1819-8465। ২০ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭The pan-Indian, civilizational dimension of cultural pluralism and syncretism encompasses ethnic diversity and admixture, linguistic heterogeneity as well as fusion, and variations as well as synthesis in customs, behavioural patterns, beliefs and rituals.{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে:|coauthors= (সাহায্য)
  153. 1."South Asian arts: Techniques and Types of Classical Dance"ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে From:Encyclopædia Britannica Online. 12 Oct. 2007.2. Sangeet Natak Academi (National Academy of Music, Dance, and Drama, New Delhi, India). 2007.Dance Programmesওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২৪ জুলাই ২০০৭ তারিখে.3. Kothari, Sunil. 2007.Sattriya dance of the celibate monks of Assam, Indiaওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে. Royal Holloway College, University of London.
  154. "National Symbols of India"। High Commission of India, London। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭
  155. জাতীয় নদী গঙ্গা
  156. "Rabindanath Tagore: Asia's First Nobel laureate..."। Time Asia। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  157. "The Nobel Prize in Literature 1913"Nobel Prize Winners। Nobel Foundation। ১৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  158. Massey 2006, পৃ. 186
  159. Lal 1998
  160. (Karanth 1997, পৃ. 26). Quote: "TheYakṣagāna folk-theatre is no isolated theatrical form in India. We have a number of such theatrical traditions all around Karnataka... In far off Assam we have similar plays going on by the name ofAnkia Nat, in neighouring Bengal we have the very popularJatra plays. Maharashtra hasTamasa. (p. 26)
  161. MacDonell 2004, পৃ. 1-40
  162. Johnson 1998,MacDonell 2004, পৃ. 1-40, andKalidasa ও Johnson (editor) 2001
  163. 1.Encyclopaedia Britannica (2008),"Tamil Literature."ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে Quote: "Apart from literature written in classical (Indo-Aryan) Sanskrit, Tamil is the oldest literature in India. Some inscriptions on stone have been dated to the 3rd century BC, but Tamil literature proper begins around the 1st century AD. Much early poetry was religious or epic; an exception was the secular court poetry written by members of thesangam, or literary academy (see Sangam literature)."2.Ramanujan 1985, পৃ. ix-xQuoteওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১১ মে ২০১১ তারিখে: "These poems are 'classical,' i.e. early, ancient; they are also 'classics,' i.e. works that have stood the test of time, the founding works of a whole tradition. Not to know them is not to know a unique and major poetic achievement of Indian civilization. Early classical Tamil literature (c. 100 BC–AD 250) consists of the Eight Anthologies (Eţţuttokai), the Ten Long Poems (Pattuppāţţu), and a grammar called theTolkāppiyam or the 'Old Composition.' ... The literature of classical Tamil later came to be known asCankam (pronouncedSangam) literature. (pp. ix-x)"
  164. "Country profile: India"। BBC। ১৯ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  165. Dissanayake ও Gokulsing 2004
  166. Rajadhyaksha ও Willemen (editors) 1999
  167. "When Bollywood's ex-lovers reunited to work together"মিড ডে। নং Mid-Day.com। ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৫
  168. Sarkar, Bhaskar (২০০৮)। "The Melodramas of Globalization"।Cultural Dynamics২০: ৩১–৫১ [৩৪]।ডিওআই:10.1177/0921374007088054
  169. "Tollywood loses to Bollywood on numbers"The Times of India। ২ অক্টোবর ২০১০। ২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০
  170. Bureau, Our Regional (২৫ জানুয়ারি ২০০৬)।"Tamil, Telugu film industries outshine Bollywood"Business Standard। ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|শেষাংশ1= প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)
  171. "China's Film Industry and Its Bollywood Future"। ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০
  172. "Tamil films give Bollywood a run for its money"। ৩ জানুয়ারি ২০১৩। ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২০
  173. Kumar, K.G. (১৮ মে ২০০৯)।"What Mollywood can learn from Nollywood"Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮
  174. [১]ওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে Link referring rechristening of sandalwod as chandanavana at world kannada summit
  175. "Bhojiwood Losing Its Lustre"। ১৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০
  176. Delphine, Roger, "The History and Culture of Food in Asia", inKiple ও Kriemhild 2000, পৃ. 1140-1151
  177. "18 Popular India Festivals"। ২১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০০৭
  178. Eugene M. Makar (২০০৭)।An American's Guide to Doing Business in India
  179. Medora, Nilufer (২০০৩)। "Mate selection in contemporary India: Love marriages versus arranged marriages"। Hamon, Raeann R. and Ingoldsby, Bron B. (সম্পাদক)।Mate Selection Across Cultures। SAGE। পৃ. ২০৯–২৩০।আইএসবিএন ০৭৬১৯২৫৯২৯{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: সম্পাদকগণের তালিকা (লিঙ্ক)
  180. "Divorce Rate In India"। ১২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০০৯
  181. "Child-Marriage"। ২৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮
  182. "A statistical analysis of child marriage of india"। ৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮
  183. "Indian Atomic Research Program"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  184. [মনোরমা ইয়ারবুক ২০১৮|ISSN 0975-2250]
  185. "United States/India hosts worlds fourth fastest supercomputer/articleshow/2538928.cms Param Padma Supercomputer unveiled"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯
  186. Majumdar ও Bandyopadhyay 2006, পৃ. 1-5
  187. "Anand crowned World champion"। Rediff। 10-29-2008। ২০০৮-১২-০৫ তারিখে মূল থেকেআর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ2008-10-29{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|তারিখ= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

উইকিপিডিয়ারসহপ্রকল্পেভারত
উইকিভ্রমণেভারত সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে।
 ভারত-সংক্রান্ত নিবন্ধ
সাধারণ
প্রাচীন যুগ
আদি মধ্যযুগ
মধ্যযুগ
প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ
ঔপনিবেশিক যুগ
(ব্রিটিশ ভারত)
স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র
ভূবিজ্ঞান
ঐতিহ্য
পরিবেশ
ভূমিরূপ
অঞ্চল
প্রশাসনিক বিভাগ
সরকার
আইন
বিচার বিভাগ
আইন বলবৎকরণ
কেন্দ্রীয় সংস্থা
গোয়েন্দা সংস্থা
সামরিক বাহিনী
অন্যান্য রাজনীতি
কোম্পানি
প্রশাসন
মুদ্রা
আর্থিক সেবা
ইতিহাস
অর্থনৈতিক খাত
সমাজ
সংস্কৃতি
অন্যান্য সমাজ
ভারতের বিভিন্ন বিষয়ের নিবন্ধসমূহ
ইতিহাস  • প্রশাসনিক অঞ্চল  • ভূগোল  • অর্থনীতি  • রাজনীতি  • বৈদেশিক সম্পর্ক  • সরকার ব্যবস্থা  • জনপরিসংখ্যান  • সংস্কৃতি  • পরিবহন ব্যবস্থা  • পর্যটন  • সামরিক বাহিনী  • ভাষা  • ধর্মবিশ্বাস  • বর্ষপঞ্জী  • সংবাদপত্র  • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ  • জাতীয় পতাকা  • জাতীয় সঙ্গীত  • নগর  • শিল্পকলা  • খেলাধুলা  • শিক্ষাব্যবস্থা  • জাতীয় প্রতীক  • সাহিত্য  • জাতীয় দিবস
সার্বভৌম রাষ্ট্র
সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্র
নির্ভরশীল অঞ্চল এবং
বিশেষ এলাকা
অস্ট্রেলিয়া
চীন (গণপ্রজাতন্ত্রী)
যুক্তরাষ্ট্র
বিম্‌সটেক সদস্য
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
নেতা

সাধারণ
জাতীয় গ্রন্থাগার
শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান
বৈজ্ঞানিক ডাটাবেজ
অন্যান্য
'https://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=ভারত&oldid=8527906' থেকে আনীত
বিষয়শ্রেণীসমূহ:
লুকানো বিষয়শ্রেণী:

[8]ページ先頭

©2009-2025 Movatter.jp