Movatterモバイル変換


[0]ホーム

URL:


বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়াএকটি মুক্ত বিশ্বকোষ
অনুসন্ধান

বেদানা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ডালিম, আনার, বেদানা
Punica granatum
ফল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:Plantae
শ্রেণীবিহীন:Angiosperms
শ্রেণীবিহীন:Eudicots
শ্রেণীবিহীন:Rosids
বর্গ:Myrtales
পরিবার:Lythraceae
গণ:Punica
প্রজাতি:P. granatum
দ্বিপদী নাম
Punica granatum
L.
প্রতিশব্দ
Punica malus
Linnaeus, 1758

বেদানা,আনার বাডালিম এরবৈজ্ঞানিক নাম:Punica granatum। এটি Lythraceae পরিবারের Punicaগণের অন্তর্ভুক্ত ফলের গাছ।

বিবরণ

[সম্পাদনা]
ডালিম

এটি একরকমের ফল । এর ইংরেজি নামপমেগ্রেনেট (pomegranate)।হিন্দুস্তানি, ফার্সি ওপশতু ভাষায় একেআনার (انار) বলা হয়। কুর্দি ভাষায়হিনার এবং আজারবাইজানি ভাষায় একেনার বলা হয়।সংস্কৃত এবং নেপালি ভাষায় বলা হয়দারিম। বেদানা গাছগুল্ম জাতীয়, ৫-৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পাকা ফল দেখতে লাল রঙের হয় । ফলের খোসার ভিতরে স্ফটিকের মত লাল রঙের দানা দানা থাকে । সেগুলি খাওয়া হয় ।

বিস্তৃতি

[সম্পাদনা]

এর আদি নিবাসইরান এবংইরাক। ককেশাস অঞ্চলে এর চাষ প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। সেখান থেকে তা ভারত উপমহাদেশে বিস্তার লাভ করেছে।[] স্পেনীয়রা ১৭৬৯ সালে ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে বেদানা নিয়ে যায়। ফলে বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ও এরিজোনায় এর চাষ হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধে এটি সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মৌসুমে জন্মে।[] দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এটি জন্মে।

ভারতের একটি বাজারে বেদানা

বর্তমানে এটিতুরস্ক, ইরান, সিরিয়া, স্পেন, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরাক, লেবানন, মিশর,চীন, বার্মা, সৌদি আরব, ইসরাইল, জর্ডান,ফিলিপাইন,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল,দক্ষিণ ইউরোপ এবং ক্রান্তীয় আফ্রিকায় ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।[]

ঔষুধি গুণাগুণ

[সম্পাদনা]
ছবিটি এঁকেছেন Otto Wilhelm Thomé, ১৮৮৫
ফুল

ডালিম ফলআয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডালিমে বিউটেলিক এসিড, আরসোলিক এসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় দ্রব্য যেমন- সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি মূল উপাদান থাকায় ইহা বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়। কবিরাজী মতে ডালিম হচ্ছে হৃদয়ের শ্রেষ্ঠতম হিতকর ফল। এ ফল কোষ্ঠ রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা দিয়ে আমাশয় ও উদরাময় রোগের ওষুধ তৈরি হয়। ইহা ত্রিদোষ বিকারের উপশামক, শুক্রবর্ধক, দাহ-জ্বর পিপাসানাশক, মেধা ও বলকারক, অরুচিনাশক ও তৃপ্তিদায়ক। ডালিমের ফুল রক্তস্রাবনাশক।

১. রক্তপাত বন্ধ করতে ডালিম ফুল অত্যন্ত কার্যকরী। হঠাৎ দুর্ঘটনায় শরীরের কোনো অংশ ছিঁড়ে গেলে, থেঁতলে গেলে বা কেঁটে রক্তপাত হলে ডালিম ফুল কচলিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। ফুল না পেলে পাতাও ভালো কাজ করে।

২. হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগের মহৌষধ ডালিম ফুলের রস। নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা রক্তঝরা একটি সাধারণ রোগ। বহু মানুষের এরকম হয়। অনেকের বিনা কারণে নাক দিয়ে রক্ত যায়। শিশুদের মাঝেও এটা লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করেই এরকম হয়। আঘাত, পলিপ বা কোনো কারণ ব্যতীত যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে বা রক্ত যায় ডালিম ফুল কচলিয়ে রস নিয়ে নাকে শ্বাস নিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

৩. আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের খোসা। যারা আমাশয়ের রোগী, ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে সেবন করলে আমাশয় নিরাময়ে ভলো ফল পাওয় যায়। আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের কাঁচা খোসা এবং শুকনা খোসা দুটোই কার্যকরী। তাই ডালিম খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে ঘরে রেখে দেয়া ভালো।

৪. ডালিম গাছের ছাল গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিলে শরীরের যে কোনো স্থানের বাগি বা উপদংশ নিরাময়ে ভালো কাজ করে। মহিলাদের প্রদররোগ নিরাময়ে ডালিম ফুল উপকারী। প্রদর একটি জটিল মেয়েলি রোগ। প্রদর দু’প্রকার। শ্বেতপ্রদর ও রক্তপ্রদর। উভয় প্রকার প্রদরে ৪/৫টি ডালিম ফুল বেটে মধুর সাথে মিশিয়ে কিছুদিন সেবন করলে রোগ সেরে যায়।

৫. গর্ভপাত নিরাময়ে ডালিমের গাছের পাতা উপকারী। বহু মহিলার গর্ভসঞ্চারের দুই তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যায়। কোনো কোনো মহিলার একাধিকবার এরকম হয়। ডালিম গাছের পাতা বেটে মধু ও দধি একসাথে মিশিয়ে সেবন করলে গর্ভপাতের আশঙ্কা দূর হয়।

৬. ডালিম গাছের শিকড় ক্রিমিনাশক। ক্রিমির সমস্যা আমাদের জাতীয় সমস্যা। ক্রিমির কারণে শিশু থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই নানাবিধ জটিলতায় ভোগে। ডালিম গাছের মূল বা শিকড় থেকে ছাল নিয়ে চূর্ন করে চুনের পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে আনায়াসেই ক্রিমিনাশ হয়। বয়স ভেদে ১-৩ গ্রাম পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

৭. শিশুদের পেটের রোগ নিরাময়ে ডালিম গাছের ছাল। শিশুরা বিভিন্ন প্রকার পেটের পীড়ায় ভোগে। যেসব শিশু পেট বড় হওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পেটের পীড়ায় ভোগে তাদেরকে জন্য ডালিম গাছের শিকড় থেকে ছাল নিয়ে গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করতে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৮. অনেকের মতে এটাও বলা হয়ে থাকে যে ডালিম খেলে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়।

৯. ডালিম খেলেডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রাকৃতিক ইনসুলিন ডালিম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।[]

মূলত, ডালিম গাছ- ফল, ফলের খোসা, পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত কোনোটাই ফেলনা নয়। আগাগোড়া মানুষের উপকারী।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]
গাছে ঝুলছে পাকা ডালিম।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Janick, Jules (২০০৮)।The encyclopedia of fruit & nuts। CABI। পৃ. ৬১০আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৫১৯৯-৬৩৮-৭{{বই উদ্ধৃতি}}:অজানা প্যারামিটার|coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= প্রস্তাবিত) (সাহায্য)
  2. LaRue, James H. (১৯৮০)।"Growing Pomegranates in California"। California Agriculture and Natural Resources। ৫ মে ২০০৮ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০০৭
  3. "Pomegranates: An Exquisite Fruit"। Exotic Fruit for Health। ১৯ আগস্ট ২০১১। ১০ এপ্রিল ২০১২ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১
  4. ডালিমের ১০ গুণ, যা আপনি নাও জানতে পারেন, কালের কণ্ঠ, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সেবেদানা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিবইয়েররান্নার বইগুলোতে নিম্নের বস্তুটির ওপর রেসিপি রয়েছে:
উইকিঅভিধানেবেদানা শব্দটি খুঁজুন।
'https://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=বেদানা&oldid=8595620' থেকে আনীত
বিষয়শ্রেণীসমূহ:
লুকানো বিষয়শ্রেণী:

[8]ページ先頭

©2009-2025 Movatter.jp