জাতিসংঘ[ক] বারাষ্ট্রপুঞ্জ[খ] একটিআন্তঃসরকারি সংস্থা যার বিবৃত উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জন করা এবং জাতিসমূহের কর্মকাণ্ডকে সমন্বয় করার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা। এটি বিশ্বের বৃহত্তমআন্তর্জাতিক সংস্থা।জাতিসংঘের সদর দফতরনিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত। এছাড়াজেনেভা,নাইরোবি,ভিয়েনা ওহেগ শহরে সংস্থাটির অন্যান্য দফতর রয়েছে।
পৃথিবীতে বাংলাদেশ সহ ১৯৫ টি দেশ আছে। বিশেষ দেশগুলো বিভিন্ন দিক দিয়ে একটি অপরটির উপর নির্ভরশীল। এভাবেই দেশগুলোর মধ্যে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্ব সম্প্রীতি এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক।
১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে বিলুপ্তলীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিজয়ী মিত্রশক্তি পরবর্তীকালে যাতে যুদ্ধ ও সংঘাত প্রতিরোধ করা যায়— এই উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়। তখনকার বিশ্ব রাজনীতির পরিস্থিতি জাতিসংঘের সাংগঠনিক কাঠামোতে এখনও প্রতিফলিত হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য (যাদেরভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে) হলোমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ফ্রান্স,যুক্তরাজ্য,রাশিয়া ওচীন। এরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী দেশ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বিশ্ব মানচিত্রে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ (নীল বর্ণে চিহ্নিত)
২০১৬ সালের তথ্যানুসারে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৮। বিশ্বের প্রায় সব স্বীকৃত রাষ্ট্রই এর সদস্য। তবে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম হলোতাইওয়ান (প্রজাতন্ত্রী চীন),ভ্যাটিকান সিটি। এছাড়াও,অন্যান্য কিছু অস্বীকৃত এলাকার মধ্যে রয়েছে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া ও উত্তর সাইপ্রাসের তুর্কি প্রজাতন্ত্র।
জাতিসংঘে যোগদানকারী সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র হলোদক্ষিণ সুদান (২০১১ সালের ১৪ জুলাই, ১৯৩তম) যোগদান করে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরযুক্তরাষ্ট্রেরনিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত। এটি ১৬ একর জমিতে ১৯৪৯হতে ১৯৫০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। ভবনটিইস্ট নদীর তীরে অবস্থিত। সদর দপ্তর স্থাপনের জমি কেনার জন্যজন ডি রকফেলার জুনিয়র ৮.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। তিনি জাতিসংঘকে এই জমি দান করেন।
জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক তথা বিশ্ব প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের যে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হতে পারে।জাতিসংঘ কিছু মহৎ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে।জাতিসংঘ গঠনের সাতটি লক্ষ ও উদ্দেশ্য হচ্ছে-
১. বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা।
৫. বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।
৬.প্রত্যেক জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের স্বীকৃতি ও তার সমুন্নত রাখা, এবং
৭.উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের কার্যধারা অনুসরণ করা ৷
উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ তার ছয়টি শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।
জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাগুলোর মধ্যেইংরেজি ৫৪টি সদস্য দেশের সরকারি ভাষা।ফরাসি হলো ২৯টি দেশের,আরবি ২৪টি দেশের,স্পেনীয় ২১টি দেশের,রুশ ১০টি দেশের, এবংচীনা ভাষা ৪টি দেশের সরকারি ভাষা।
জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্রই এর সদস্য। প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের ১টি ভোটাধিকার রয়েছে।সাধারণ সভায় ৫ জন প্রতিনিধি প্রতিটি সাধারণ সভায় একটিদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার সাধারণসভার বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়।১০টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র নির্বাচন এবং ECOSOC এর ৫৪ জন সদস্য নির্বাচন করে। সভাপতির কার্যকাল ১ বছর।
২. নিরাপত্তাপরিষদঃ
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিষ্ঠাকালীন (১৯৬৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত) সদস্য- ১১টি।
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়- ২বছরের জন্য।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্থাব বাস্তবায়নের জন্য- ৯টি সদস্যরাষ্ট্রের সম্মতির প্রয়োজন (৫টি স্থায়ী ও ৪টি অস্থায়ী)
নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়- ১মাসের জন্য।
Veto শব্দটি ল্যাটিন; এর শব্দগত অর্থ ‘আমিমানিনা’।
ভেটো- কোন প্রস্থাবে স্থায়ী সদস্যদের ‘না’ বলার সাংবিধানিক অধিকার, নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৯টি ভোটের প্রয়োজন (স্থায়ী ৫টি ও অস্থায়ী ৪টি), ৫টি স্থায়ী সদস্যের ভেটো ক্ষমতা আছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সমূহ-
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য (ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন) দেশ রয়েছে ৫টি।এগুলো হলো-
এটিকে জাতিসংঘ পরিবার বলা হয়। বর্তমান সদস্য ৫৪ এবং সদস্য রাষ্ট্রের মেয়াদ তিন বছর। প্রতি বছর ১৮টি দেশ অবসর এবং নতুন ১৮টি দেশ অন্তর্ভূক্ত হয়।বছরে ২ বার অধিবেশন বসে। যথা- জেনেভাতে। এ পরিষদের ৫টি আঞ্চলিক কমিটি আছে।
(ক) ESCAP- Economic and social Commission for Asia and pacific.
সদর দপ্তরঃ ব্যাংকক (থাইল্যান্ড) (১৯৪৭)
(খ) ECA- Economic Commission For Africa.
সদর দপ্তরঃ আদ্দিস-আবাবা (ইথিওপিয়া) (১৯৫৮)
(গ) ECE- Economic Commission For Europe.
সদর দপ্তরঃ জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) (১৯৪৭)
(ঘ) ECLAC- Economic Commission For Latin American and Carabian.
সদর দপ্তরঃ সান্টিয়াগো (চিলি) (১৯৪৮)
(ঙ) ESCWA- Economic and Social Commission For Western Asia.
সদরদপ্তরঃ বৈরুত (লেবানন) (১৯৪৭)
৪. অছিপরিষদঃ
জাতিসংঘের অছি পরিষদ
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী রাষ্ট্র এর সদস্য। ট্রাস্ট বা সাহায্য ভূক্তসমূহের রক্ষনাবেক্ষণ ,এদের নিয়ন্ত্রণ এ পরিচালিত হয়।জাতিসংঘের মাধ্যমে নাউরু, নিউগিনি, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন স্বাধীনতা পায়।১৯৯৪ সালে পালাউ এর স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাধ্যমে সকল অছিভুক্ত দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে।বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আইল্যান্ড একমাত্র অছিপরিষদভুক্ত অঞ্চল।১৯৯৪সালের পর অছিপরিষদের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
৫. আন্তর্জাতিক আদালতঃ
জাতিসংঘ দ্বারা পরিচালিত আন্তর্জাতিক আদালত
৩ এপ্রিল ১৯৪৬ থেকে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।১৫জন বিচারপতি নিয়ে জাতিসংঘের আওতায় এর কার্যক্রম পরিচালিত। বিচারকদের কার্যকাল ৯ বছর।একটি দেশ থেকে কেবল একজন বিচারক একই সময়ে বিচারক নিযুক্ত হতে পারে। রোজালিনহ্যাগিন্স (টক) এই আদালতের প্রথম মহিলা বিচারপতি।সভাপতির মেয়াদকাল ৩ বৎসর। নেদারল্যান্ডের দ্যা হেগে এর প্রধান সদরদপ্তর।
৬. সচিবালয়ঃ
জাতিসংঘ সচিবালয়ের ভবন
সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় মহাসচিব নিযুক্তির ক্ষেত্রে পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ ভোটে মহাসচিব ৫ বৎসরের জন্য নির্বাচিত হন। এর ইউরোপীয় সদরদপ্তর জেনেভা।জাতিসংঘ সচিবালয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত। এর প্রধানের উপাধি হলো সেক্রেটারিজেনারেল বা মহাসচিব।এর দপ্তর সংখ্যা ৮টি।
জাতিসংঘের প্রধান হিসেবে রয়েছেনমহাসচিব। জাতিসংঘ সনদের ৯৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক মহাসচিবকে “প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ সনদে আরো বলা হয়েছে যে, মহাসচিব যে-কোন বিশ্ব শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা ও নিরাপত্তার খাতিরে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনতে পারবেন। মহাসচিব পদটি দ্বৈত ভূমিকার অধিকারী - জাতিসংঘের প্রশাসক এবং কুটনৈতিক ও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে।
নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
পদের মেয়াদ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই। কিন্তু পূর্ব থেকেই এক বা দুই মেয়াদে ৫ বছরের জন্য ভৌগোলিক চক্রাবর্তে মহাসচিব পদে মনোনীত করার বিধান চলে আসছে।
একটি প্রায়শ ভুলভাবে উদ্ধৃত বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টজর্জ ডব্লিউ. বুশ ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাদ্দাম হুসেন শাসনাধীন ইরাকের উস্কানির প্রতি জাতিসংঘের অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ঘোষণা করেছিলেন: "মুক্ত বিশ্বের জাতিসমূহ জাতিসংঘকে একটি অকার্যকর ও অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক ক্লাবে পরিণত হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে বিলীন হতে দেবে না।"[১১][১২][১৩]
প্রতিষ্ঠার পর থেকেইজাতিসংঘ সংস্কারের জন্য বহু দাবি উত্থাপিত হয়েছে, কিন্তু এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য আজও গড়ে ওঠেনি। একপক্ষ সংস্থাটিকে বিশ্ব রাজনীতিতে অধিকতর কার্যকর ভূমিকায় দেখতে চাইলেও অন্যদল এর কার্যকলাপকে কেবল মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ রাখতে আগ্রহী।
জাতিসংঘ ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ, যেমনভেটো-প্রদত্ত বিশেষাধিকার, প্রায়শই মৌলিকভাবে অগণতান্ত্রিক, জাতিসংঘের অভিলক্ষ্যের পরিপন্থী এবং গণহত্যা ওমানবতাবিরোধী অপরাধসমূহের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়তার মুখ্য কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।[১৬][১৭]
জাক ফোমারঁডের মতে জাতিসংঘ সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির সর্বাধিক স্থায়ী বিভাজনটি হল "উন্নত উত্তরাঞ্চলীয় রাষ্ট্রসমূহ ও উন্নয়নশীল দক্ষিণাঞ্চলীয় রাষ্ট্রসমূহের" মধ্যকার "উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন"।[১৮] দক্ষিণের রাষ্ট্রসমূহ একটি অধিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত জাতিসংঘকে অগ্রাধিকার দেয় যেখানে সাধারণ পরিষদ শক্তিশালী, যা তাদের বৈশ্বিক বিষয়াবলীতে অধিকতর কণ্ঠস্বর প্রদান করে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলীয় রাষ্ট্রসমূহ একটি অর্থনৈতিকভাবেঅবাধ নীতির জাতিসংঘকে পছন্দ করে যা সন্ত্রাসবাদসহ আন্তঃসীমান্ত হুমকিসমূহের উপর কেন্দ্রীভূত।
জাতিসংঘ সংস্কার বিষয়ক চলমান আলোচনার প্রেক্ষিতে নোবেল ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন (NWF)ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলির কাছে সদস্যপদ ও ভেটো ক্ষমতা স্থানান্তরের মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব করে। নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচনে আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের উপর ভিত্তি করে বর্তমান অনুশীলনের সাথে এই প্রস্তাবিত রূপান্তর সামঞ্জস্যপূর্ণ। UNSC-তে ব্যক্তিগত রাষ্ট্রের ভেটোর কারণে সৃষ্ট গতিরোধ হ্রাস করাই এই প্রস্তাবের লক্ষ্য। এই সমস্যার একটি প্রমুখ উদাহরণ পরিলক্ষিত হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ, যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল, যার ফলে UNSC-এর কার্যকারিতায় একটি উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা প্রকাশ পায়। NWF-এর প্রস্তাবটি UNSC-এর মধ্যে কার্যকারিতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।[২০][২১]
জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো কনভেনশনের (UNFCCC) অধীনে অগ্রগতির গতি সম্পর্কিত উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাস্তুসংস্থানিক উদ্বেগগুলির একীকরণ বাড়ানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে।[২২] প্ল্যানেট পলিটিক্স ইনস্টিটিউট এবং দ্য প্ল্যানেটারি ডেমোক্র্যাটসের সাথে যুক্ত পণ্ডিতগণ প্রস্তাবিত UNPA-র পাশাপাশি একটি পৃথিবী ব্যবস্থা পরিষদ (Earth System Council) এবং একটি গ্রহীয় সংসদ (Planetary Parliament) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে বাস্তুসংস্থানিক স্বার্থের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবে।[২৩][২৪]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরফরাসি জাতীয় মুক্তি কমিটির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ফ্রান্সের সরকার হিসাবে স্বীকৃতি লাভে বিলম্বিত হওয়ায় দেশটি প্রাথমিকভাবে নতুন সংস্থা সৃষ্টিকারী সম্মেলনসমূহ থেকে বাদ পড়েছিল। ভবিষ্যৎ ফরাসি প্রেসিডেন্টশার্ল দ্য গোল জাতিসংঘের সমালোচনা করে এটিকে একটিমেশিন (যন্ত্রপাতি) আখ্যা দিয়েছিলেন এবং বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা জোট বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে বলে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না, বরং রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে প্রত্যক্ষ প্রতিরক্ষা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।[২৫]
স্নায়ুযুদ্ধ জুড়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ই বারবার জাতিসংঘকে অপর পক্ষের পক্ষে সমর্থন করার অভিযোগ করেছিল। ১৯৫০ সালে,জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীনের আসন কমিউনিস্ট-বিরোধীচীন প্রজাতন্ত্রকে দেওয়ার প্রতিবাদে সোভিয়েত ইউনিয়ন সংস্থাটি বয়কট করেছিল। তিন বছর পর,কোরীয় যুদ্ধে তার সমর্থনের কারণে সোভিয়েতরা কার্যকরভাবে জাতিসংঘের মহাসচিবট্রিগভে লাইয়ের পদত্যাগ বাধ্য করেছিল কারণ তারা তার প্রশাসনকে স্বীকার করতে অস্বীকার করেছিল।[৩২]
ব্যঙ্গাত্মকভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একই সময়ে জাতিসংঘের কমিউনিস্ট এবং সোভিয়েত সহানুভূতিশীলদের নিয়োগের জন্য তদন্ত করেছিল, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় অংশ নেওয়া একজন আমেরিকানআলজের হিস সোভিয়েত গুপ্তচর ছিলেন এমন একটি উচ্চপ্রোফাইল অভিযোগের পরে। আমেরিকান সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থি দাবি করেছিলেন যেমহাসচিব লাইয়ের অধীনে জাতিসংঘ সচিবালয়ে আমেরিকান কমিউনিস্টরা লুকিয়ে ছিল, যা জাতিসংঘ প্রধানকে পদত্যাগের জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করেছিল।[৩৩] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬০-এর দশকে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে নব্য বিরোধিতা দেখেছিল, বিশেষত রক্ষণশীলদের মধ্যে,জন বার্চ সোসাইটির মতো গোষ্ঠীগুলি এই মর্মে বিবৃতি দিয়েছিল যে সংস্থাটি সাম্যবাদের একটি হাতিয়ার।[৩৪] "ইউ.এন.-এর বাইরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইউ.এন.-কে বের করে আনুন!" এবং "আপনি ইউ.এন. ছাড়া কমিউনিজম বানাতে পারবেন না" এর মতো স্লোগান সহ বাম্পার স্টিকার এবং সাইন এর মাধ্যমে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় বিরোধিতা প্রকাশ করা হয়েছিল।[৩৫]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জাতীয় সার্বভৌমত্বের উপর সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে উদ্বেগ ছিল, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবেজন বার্চ সোসাইটি দ্বারা প্রচারিত, যারা ১৯৬০-এর দশকে জাতিসংঘের বিরোধিতায় একটি জাতীয় প্রচারণা চালিয়েছিল।[৩৬][৩৭][৩৮]
১৯৯০-এর দশক থেকে,আমেরিকান সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার আইনের সাথে একই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, যামার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে, বিল সম্বলিত একটি সংশোধনী ফ্লোর ভোট পেয়েছিল, যেখানে ৫৪ জন প্রতিনিধি সমর্থনে ভোট দিয়েছিলেন।[৩৯][৪০] বিলের ২০০৭ সংস্করণ (H.R.1146)মার্কিন প্রতিনিধিরন পল দ্বারা রচিত হয়েছিল, জাতিসংঘ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের জন্য। এটি জাতিসংঘ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন বাতিল করবে, জাতিসংঘের জন্য ব্যয় করার জন্য তহবিলের অনুমোদন বাতিল করবে, আমেরিকান সম্পত্তিতে জাতিসংঘের উপস্থিতি বাতিল করবে এবং জাতিসংঘের কর্মীদের কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা প্রত্যাহার করবে।[৪১] এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের জন্য দুই বছর পর্যন্ত সময় দেবে।[৪২]ইয়েল ল জার্নাল এই আইনটিকে প্রমাণ হিসাবে উদ্ধৃত করেছে যে "জাতিসংঘের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ তীব্রতর হয়েছে।"[৪৩] সর্বশেষ পুনরাবৃত্তি,২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], H.R.7806,মাইক ডি. রজার্স দ্বারা উত্থাপিত।[৪৪]
ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণে জাতিসংঘের মনোযোগ ইহুদি সমালোচকদের দ্বারা অত্যধিক বলে বিবেচিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি কূটনীতিকডোর গোল্ড, ব্রিটিশ পণ্ডিতরবার্ট এস. উইস্ট্রিচ, আমেরিকান আইন বিশেষজ্ঞঅ্যালান ডারশোভিৎস, অস্ট্রেলীয় রাজনীতিবিদমার্ক ড্রেফাস এবংঅ্যান্টি-ডিফামেশন লীগ।[৪৫] সেপ্টেম্বর ২০১৫-এ,সৌদি আরবের ফয়সাল বিন হাসান ট্রাডজাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন,[৪৬] একটি পদক্ষেপ যাজাতিসংঘ ওয়াচ দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল।[৪৭] সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টজর্জ ডব্লিউ. বুশ কর্তৃক জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকেও ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হয়েছিল, যিনি অভিযোগ করেছিলেন যে পরিষদটি কিউবা, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের মতো দেশগুলির চেয়ে ইসরায়েলের উপর অত্যধিক মনোযোগ দিয়েছে।[৪৮]মার্কিনরাজ্য আইনপ্রণেতাগণ মার্কিন সার্বভৌমত্বকে হুমকি বলে বিবেচিত বিভিন্ন জাতিসংঘ কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য আইন প্রস্তাব করেছেন।[৪৯] ২০২৩ সালে,টেনেসি "জাতিসংঘ বা জাতিসংঘের একটি অধস্তন সত্তা থেকে উৎপত্তি বা সন্ধানযোগ্য" কর্মসূচি বাস্তবায়ন বন্ধ করার জন্য আইন কার্যকর করেছে, যার মধ্যেএজেন্ডা ২১ এবং২০৩০ এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত।[৫০][৫১] সিনেট প্যানেলের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিশ্চিতকরণ শুনানিতে,এলিস স্টিফানিক ইসরায়েলের প্রতি জাতিসংঘের মনোভাবকে "ইহুদিবিদ্বেষী" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রীবেজালেল স্মোটরিচ এবংবেন গভিরের মতামত নিশ্চিত করেছিলেন যে ইসরায়েলের 'সমগ্র পশ্চিম তীরে বাইবেলিক অধিকার' রয়েছে।[৫২][৫৩][৫৪][৫৫]
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞএডওয়ার্ড লাকের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংস্থা কর্তৃক গৃহীত প্রধান প্রকল্পসমূহে একটি দুর্বল জাতিসংঘকে অগ্রাধিকার দিয়েছে যাতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ বা মার্কিন নীতির বিরোধিতা রোধ করা যায়। "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ জিনিসটি হল একটি স্বাধীন জাতিসংঘ তার ওজন নিয়ে চারপাশে ছুড়ে ফেলছে", লাক বলেছিলেন। একইভাবে, প্রাক্তনমার্কিন জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতড্যানিয়েল প্যাট্রিক ময়নিহান ব্যাখ্যা করেছিলেন যে "পররাষ্ট্র দপ্তর চেয়েছিল যে জাতিসংঘ যাই করুক না কেন সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর প্রমাণিত হোক। এই কাজটি আমাকে দেওয়া হয়েছিল এবং আমি তা কম সাফল্যের সাথে এগিয়ে নিয়েছি।"[৫৬]
১৯৯৪ সালে, জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রাক্তন বিশেষ প্রতিনিধিমোহাম্মদ সাহনুনসোমালিয়া: দ্য মিসড অপারচুনিটিজ প্রকাশ করেছিলেন,[৫৭] একটি বই যেখানে তিনিসোমালিয়ায় ১৯৯২ সালের জাতিসংঘ হস্তক্ষেপের ব্যর্থতার কারণগুলি বিশ্লেষণ করেছেন। সাহনুন দাবি করেন যে ১৯৮৮ সালে সোমালি গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া থেকেসিয়াদ বারির শাসনের পতন জানুয়ারি ১৯৯১ সালের মধ্যে জাতিসংঘ প্রধান মানবিক ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ করার জন্য কমপক্ষে তিনটি সুযোগ হারিয়েছিল। যখন জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা প্রদান করার চেষ্টা করেছিল, তখন তারা সম্পূর্ণরূপেএনজিও দ্বারা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যাদের দক্ষতা এবং নিবেদিতভাব জাতিসংঘের অত্যধিক সতর্কতা এবং আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতার বিপরীতে তীব্রভাবে বৈপরীত্য করেছিল। সাহনুন সতর্ক করেছিলেন যে যদি আমূল সংস্কার না করা হয়, তাহলে জাতিসংঘ অদক্ষতায় এই ধরনের সংকটের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকবে।[৫৮]
নির্দিষ্ট উদাহরণ বা অভিযুক্ত অকার্যকারিতার ক্ষেত্রগুলির বাইরে, কিছু পণ্ডিত জাতিসংঘের সামগ্রিক কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক করেন।বাস্তববাদী বিদ্যালয়ের অনুসারীরা একটি হতাশাবাদী অবস্থান নেন, যুক্তি দেন যে জাতিসংঘ একটি কার্যকর সংস্থা নয় কারণ এটি মহান শক্তিদের দ্বারা আধিপত্য ও সীমাবদ্ধ।উদারপন্থী পণ্ডিতরা পাল্টা যুক্তি দেন যে এটি একটি কার্যকর সংস্থা কারণ এটি শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধের চারপাশে কাজ করে অনেক সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণত পণ্ডিতদের দ্বারা জনস্বাস্থ্য এবং মানবিক সহায়তার মতো ক্ষেত্রে আরও কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।[৫৯] ২১শ শতাব্দীতেঅঞ্চলগত অখণ্ডতা বলবৎ করার অকার্যকারিতা[৬০]জয়ের অধিকারের সম্ভাব্য পুনরুত্থান নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।[৬১]
সমালোচকরা জাতিসংঘকে আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা, অপচয় এবং দুর্নীতিরও অভিযোগ করেছেন। ১৯৭৬ সালে সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে অদক্ষতা খুঁজে বের করার জন্যজয়েন্ট ইন্সপেকশন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৯৯০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অদক্ষতার কথা উল্লেখ করে চাঁদা আটকে রেখেছিল এবং কেবল একটি প্রধান সংস্কার উদ্যোগ চালু করার শর্তে পুনর্বাসন শুরু করেছিল। ১৯৯৪ সালে,অভ্যন্তরীণ তদারকি পরিষেবা দপ্তর (OIOS) একটি দক্ষতা ওয়াচডগ হিসাবে কাজ করার জন্য সাধারণ পরিষদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৬২]
২০০৪ সালে, জাতিসংঘ অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছিল যে এর সাম্প্রতিক শেষ হওয়াতেল-বিনিময়ে-খাদ্য কর্মসূচি — যেখানে নিষেধাজ্ঞার চাপ কমাতে ইরাককে মৌলিক প্রয়োজনের জন্য তেল বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল — ব্যাপক দুর্নীতির শিকার হয়েছিল, যার মধ্যেকিকব্যাকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার জড়িত ছিল। জাতিসংঘ কর্তৃক তৈরি একটি স্বাধীন তদন্তে পাওয়া গেছে যে এর অনেক কর্মকর্তাপরিকল্পনায় জড়িত ছিল এবংকোজো আনানের ভূমিকা সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল,কফি আনানের পুত্র।[৬৩]
জাতিসংঘ তার সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মাঝে নির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেশুভেচ্ছা দূত নিয়োগ করে থাকে। শুভেচ্ছা দূতের মধ্যে - বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতা,খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকা প্রমুখ পেশাজীবিদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়।
জাতিসংঘ শান্তি বার্তাবাহক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এইচআইভি ও এইডস্ কর্মসূচী, পরিবেশ কার্যক্রম, ইউএনডিপি,ইউনেস্কো, ইউনোডিসি, ইউএনএফপিএ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ, ইউনিডো, ইউনিফেম, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রমূখ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সময়ে সময়ে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে নিয়োগ করে থাকে।
জাতিসংঘের নামকরণ করেন-মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর অবস্থিত- যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানে (নিউইয়র্ক)।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ (১৩৬তম) লাভ করে-১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।
জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গসংস্থা-সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, সচিবালয়, অছি পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক আদালত।
জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক সংস্থা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেসকো, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ৫টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী মোট ১৫টি সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। ৫টি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও চীন। স্থায়ী সদস্যদের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব হলেন প্রধান নির্বাহী। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব হলেন আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি পর্তুগালের নাগরিক
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিবের নাম ট্রিগভেলী (১৯৪৬-৫২, নরওয়ে)।
জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষা হলো-ইংরেজি, ফরাসি, চায়নিজ, রাশিয়ান, স্প্যানিশ ও আরবি। প্রতিষ্ঠানটির ৭ম দাপ্তরিক ভাষা হবে-বাংলা।
জাতিসংঘের সচিবালয়ে কার্যকরী ভাষা হলো-ইংরেজি ও ফরাসি।
↑Constantinou, C. M.; Christodoulou, E. (২০২৪)। "On making peace with nature: Visions and challenges towards an ecological diplomacy"।Review of International Studies।৫০ (3):৫৭৯–৫৯৯।ডিওআই:10.1017/S0260210524000172।
↑Gerbet, Pierre (১৯৯৫)।"Naissance des Nations Unies"[Birth of the United Nations]।Espoir (ফরাসি ভাষায়)। নং102। ১০ জুলাই ২০০৯ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভকৃত।
↑Kubek, Anthony (১৯৬৩)।How the Far East was lost: American policy and the creation of Communist China। Intercontex Publishers (England) Limited।আইএসবিএন৯৭৮-০-৮৫৬২২-০০০-৫।{{বই উদ্ধৃতি}}:আইএসবিএন / তারিখের অসামঞ্জস্যতা (সাহায্য)
[[স্বল্পোন্নত দেশসমূহ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশসমূহ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহের জন্য উচ্চ প্রতিনিধির জাতিসংঘ কার্যালয়|উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য জাতিসংঘ কার্যালয়]]