জাগো | |
---|---|
![]() চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক পোস্টার | |
পরিচালক | খিজির হায়াৎ খান |
প্রযোজক | আদনান করিম সারজিল করিম |
রচয়িতা | খিজির হায়াৎ খান |
শ্রেষ্ঠাংশে | ফেরদৌস তারিক আনাম খান বিন্দু আরিফিন শুভ রওনক হাসান ফারুক সোবহান নাঈম |
সুরকার | শায়ান চৌধুরী অর্ণব |
চিত্রগ্রাহক | সাচী চৌধুরী |
সম্পাদক | সমীর আহমেদ |
পরিবেশক | ইন্টারস্পীড |
মুক্তি | ২০১০ |
স্থিতিকাল | ১৫১ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ২ কোটি |
জাগো এটি একটি বাংলাদেশীক্রীড়া ভিত্তিক রোমাঞ্চকরচলচ্চিত্র। এটির লেখক ওপরিচালকখিজির হায়াৎ খান। আদনান করিম প্রযোজিত তরুনদেরফুটবলখেলা নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি মুক্তি পায়। এর কয়েকটি গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রেঅভিনয় করেছেনফেরদৌস,তারিক আনাম খান,বিন্দু,আরিফিন শুভ,রওনক হাসান,ফারুক সোবহান নাঈম ও আরোও অনেকে।[১][২][৩][৪] 'জাগো' বাংলাদেশে ক্রীড়া নির্ভর কাহিনী ও ফুটবল নিয়ে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র।[১][৫]
প্রতিবারের মত এবারো কুমিল্লা একাদশ এবার খেলবে ভারতের চ্যাম্পিয়ন দল ত্রিপুরা একাদশের সঙ্গে। অতীতে ত্রিপুরা কখনই কুমিল্লা একাদশের কাছে হারেনি। কুমিল্লা একাদশে শামীমের মতো মেধাবী খেলোয়াড় থাকায় তারা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি দুর্ঘটনার কারণে হোম আর আওয়ে দুটো ম্যাচই বাতিল হয়ে যায়। একটি স্থানীয় পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ত্রিপুরা একাদশ কুমিল্লা একাদশকে তাচ্ছিল্য করে। কুমিল্লা একাদশের খেলোয়াড়দের অস্তিত্ব রক্ষায় গ্রহণ করে এক নতুন চ্যালেঞ্জ- ত্রিপুরাকে হারাও। কোচবিহীন কুমিল্লা একাদশের পাশে দাঁড়ান স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় সাফু। শুরু হয় প্রস্তুতি।[২]
পরিচালক খিজির হায়াৎ খান জাগো নির্মাণে প্রথম দিকে কোন প্রযোজক পাননি। পরবর্তীতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পিড-এর কর্ণধার সারজিল করিম ও আদনানা করিম এই চলচ্চিত্রে টাকা লগ্নী করেন। 'জাগো' নির্মাণে ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০০৯ সালে প্রধান চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। ৬৭দিন চিত্রগ্রহণ চলে। চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্য ডিজিটাল ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। ফুটবল খেলার দৃশ্য স্টেডিক্যামে ধারণ করা হয়েছিল।[৬] অধিকাংশ চিত্র গ্রহণ হয় ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়।[১][২]
অভিনয়ের জন্য আরিফিন শুভ, রওনক, নাঈমসহ সবাইকে নিয়ে প্রায় দেড় মাস ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।[৬]
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেনশায়ান চৌধুরী অর্ণব।[২]
২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। সেই সময় ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশেস্টার সিনেপ্লেক্স ছাড়া কোন প্রেক্ষাগৃহ ছিলনা। চলচ্চিত্রটি সিনেপ্লেক্সে টানা তিন মাস দেখানো হয়।[১] এছাড়াও অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়ার জন্য চলচ্চিত্রটির একটি ৩৫ মিমি-তে রূপান্তরিত ফরম্যাট করা হয়েছিল।[২]