উদ্ভিদজীবজগতের একটি বড় গোষ্ঠী যাদের অধিকাংশইসালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমেশর্করা-জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে এবং এরা গমন করতে পারে না। অবশ্য কিছু এককোষী উদ্ভিদ গমনে সক্ষম।বৃক্ষ,গুল্ম,বীরুৎ ইত্যাদি উদ্ভিদ জগতের অন্তর্গত। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫০,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮৭,৬৫৫টি প্রজাতিকে শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে ২৫৮,৬৫০টি হলোসপুষ্পক উদ্ভিদ।[২]
বৃক্ষ বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠবহুল উদ্ভিদ। বৃক্ষকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়: কাষ্ঠবহুল উদ্ভিদ যার মাটি থেকে সুস্পষ্ট শীর্ষ প্রকটতা বিশিষ্ট একটি একক প্রধান কাণ্ড অথবা গুঁড়ি থেকে বহুধাবিভক্ত অপ্রধান শাখা বিকশিত হয়। কিছু লেখকের মতে পূর্ণ বিকশিত অবস্থায় বৃক্ষের ন্যূনতম উচ্চতা ৩ মিটার[২] থেকে ৬ মিটার হওয়া উচিত।[৩] আবার কিছু লেখক গাছের কাণ্ডের ন্যূনতম ব্যাস নির্ধারণ করেছেন ১০ সেমি।[৩]
গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদবৃক্ষ থেকে ছোট হয় এবং এরকাণ্ড, শাখা প্রশাখা শক্ত হলেও বৃক্ষের কাণ্ড, শাখা প্রশাখা থেকে ছোট ও চিকন হয় গুল্মের মূল মাটির খুব বেশি গভীরে যায় না। এই উদ্ভিদের প্রধান কাণ্ডটির সারা গায়ে শাখা গজায়।
বিরুৎ এর কাণ্ড, শাখা প্রশাখা নরম হয়। আকারে ছোট হয়।
পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ প্রজাতি নিয়ে গঠিত হয়েছে উদ্ভিদ রাজ্য। উদ্ভিদ রাজ্যেকে দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়, যথা-ক্রিপটোগ্যামস্ বাঅপুষ্পক উদ্ভিদ (ফুল, ফল, বীজ হয় না) এবং ফ্যানারোগ্যামস্ বাসপুষ্পক উদ্ভিদ (ফুল, ফল, বীজ হয়)। অপুষ্পক উদ্ভিদ তিনটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত, যথা থ্যালোফাইটা, ব্রায়োফাইটা এবং টেরিডোফাইটা। সপুষ্পক উদ্ভিদ দু-প্রকার, যথা-ব্যক্তবীজী বা জিমনোস্পার্ম ও গুপ্তবীজী বা অ্যানজিওস্পার্ম। বীজে বীজপত্রের সংখ্যা অনুযায়ী গুপ্তবীজী উদ্ভিদ আবার দু-রকমের, যথা-একবীজপত্রী উদ্ভিদ এবংদ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ।
↑Haeckel G (১৮৬৬)।Generale Morphologie der Organismen। Berlin: Verlag von Georg Reimer। পৃ.vol.১: i–xxxii,১–৫৭৪, pls I–II, vol. ২: i–clx,১–৪৬২, pls I–VIII।